রপ্তানিমুখী শিল্পের উন্নয়ন, সেবা খাতের উন্নয়ন ও বিদেশে কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে জাতীয় শিল্পনীতি ভূমিকা রাখবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
Published : 11 Aug 2022, 06:02 PM
আগামী আট বছরের মধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য দেশীয় পণ্য উৎপাদনের শক্তিশালী ভিত তৈরির লক্ষ্য নিয়ে ‘জাতীয় শিল্পনীতি ২০২২’ এর খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে এর অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যুক্ত হন।
পরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের কাছে এর বিস্তারিত তুলে ধরে জানান, শিল্পনীতির খসড়ায় ২০টি অধ্যায় রয়েছে।
তিনি বলেন, “রপ্তানিমুখী শিল্পের উন্নয়ন ও বহুমুখীকরণ, সেবা খাতের উন্নয়ন, আইসিটিভিত্তিক উদ্যোক্তা উন্নয়ন এবং বিদেশে কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে এটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে।”
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, দেশীয় কাঁচামাল ও সম্পদের সুষম ব্যবহার করে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করা, খাতভিত্তিক উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মানের উৎকর্ষ সাধনের জন্য এই শিল্পনীতি ২০২২ প্রণয়ন করা হয়েছে।
এসময় জাতীয় শিল্পীনীতির বহুমুখী লক্ষ্যের কথা তুলে ধরেন আনোয়ারুল ইসলাম।
“শিল্প খাতের অবকাঠামো শক্তিশালীকরণ, সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা, বেসরকারি বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার জন্য অবকাঠামোগত বাধা দূর করাসহ মানবসম্পদ উন্নয়নে নীতিমালাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও এই নীতিমালা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানান তিনি।
“এর মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে আধুনিক ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামূলক দেশীয় শিল্প পণ্য উৎপাদনের শক্তিশালী ভিত তৈরি হবে।”