ঋণদাতা সংস্থাটির সুপারিশ মেনে প্রতি প্রান্তিকে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হিসাবও ২০২৪ সাল থেকে প্রকাশ করবে বিবিএস।
Published : 02 May 2023, 07:49 PM
দেশে প্রতিমাসে মূল্যস্ফীতি হিসাবের ক্ষেত্রে পণ্যের সংখ্যা বেড়ে ৭২০টি করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শ মেনে নতুন আরও প্রায় ৩০০ পণ্যকে ‘ঝুড়িতে’ যুক্ত করার কথা জানিয়েছেন বিবিএসের মহাপরিচালক মো. মতিয়ার রহমান।
চলতি মাস থেকেই মূল্যস্ফীতি হিসাবের জন্য পণ্যের ঝুড়িতে এগুলোকে যুক্ত করে তা কার্যকর করার কথা জানিয়েছেন তিনি।
একই সঙ্গে ২০২৪ সাল থেকে প্রতি প্রান্তিকে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) হিসাবও প্রকাশ করবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।
বর্তমানে ৪২২টি পণ্যের মূল্য হিসাব করে মূল্যস্ফীতি নির্ধারণ করা হচ্ছে।
আইএমএফের কাছ থেকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ নেওয়ার চুক্তির সময় করা সংস্থাটির পরামর্শ মেনে বাংলাদেশ আরও অনেক বিষয়ের সঙ্গে পরিসংখ্যান সংশ্লিষ্ট তিন বিষয়ে বদল আনার বিষয়ে সমঝোতা করে।
পরিসংখ্যানের তিন বিষয় হল- মূল্যস্ফীতির ঝুড়িতে পণ্যের সংখ্যা বাড়ানো, প্রতি প্রান্তিকে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হিসাব প্রকাশ এবং স্বাধীনতার পর থেকে গত ৫০ বছরের জিডিপির সাময়িক ও চূড়ান্ত তথ্য একই জায়গায় সংকলন করে প্রকাশ করা।
মহাপরিচালক জানান, আইএমএফের পরামর্শ ছিল আগামী জুলাই মাসের মধ্যে পণ্যের ঝুড়ি ৭২০টিতে উন্নীত করা। ইতোমধ্যে সেই কাজ শেষ হয়েছে।
“এই মাস (মে) থেকেই আমরা নতুন ঝুড়ির হিসাবে মূল্যস্ফীতির হিসাব কার্যকর হচ্ছে। আইএমএফের গাইডলাইনেই এটা করা হচ্ছে” যোগ করেন তিনি।
মঙ্গলবার ঢাকা সফররত প্রতিনিধি দলটি সামষ্টিক অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকের হালনাগাদ অবস্থা জানতে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) পরিদর্শন করে।
এদিন সকালে আইএমএফের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ এস্টেলা শু লিউ এর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি বিবিএসে আসে।
বিবিএস মহাপরিচালক মতিয়ার বলেন, “সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এক বৈঠকে মূল্যস্ফীতি হিসাবের পণ্য বাড়ানো, বিগত ৫০ বছরের জিডিপির হিসাব কম্পাইল করা এবং ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে জিডিপির হিসাব হালনাগাদ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।
“আইএমএফ প্রতিনিধি দলকে এই তিন বিষয়ের অগ্রগতি জানিয়েছি।”
প্রতি প্রান্তিকে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হিসাবের প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে। আগামী ২০২৪ সাল থেকে তা করা হবে বলে জানান তিনি।
মহাপরিচালক জানান, সংস্থাটির পরামর্শ অনুযায়ী গত ৫০ বছরের জিডিপির হিসাব সংকলনের কাজও শেষ হয়েছে।
গত ৩১ জানুয়ারি সংস্থাটির পর্ষদ সভায় বাংলাদেশের জন্য ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন করা হয়। পরের মাসে এটির প্রথম কিস্তি ৪৪ কোটি ৭৭ লাখ ডলার ছাড় করে। ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সাত কিস্তিতে এ অর্থ ছাড় করা হবে।