কৃষিপণ্যের রপ্তানি বাড়াতে কাজ চলছে: কৃষিমন্ত্রী

“শুধু গার্মেন্টস নির্ভর থাকলে হবে না, বরং রপ্তানিকে বহুমুখী করতে হবে,” বলেন তিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Nov 2022, 08:03 PM
Updated : 20 Nov 2022, 08:03 PM

উন্নত দেশের বাজারে কৃষিপণ্য রপ্তানি বাড়াতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক।

তিনি বলেছেন, “উন্নত দেশগুলোতে কৃষিপণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি করতে আমরা কাজ করছি। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপানসহ উন্নত দেশে রপ্তানির ক্ষেত্রে সেসব দেশের পূর্বশর্ত পূরণে ইতোমধ্যে অনেকগুলো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে৷” 

রোববার ঢাকার হোটেল ওয়েস্টিনে ‘ফুড সেফটি অ্যান্ড এক্সপোর্ট অপরচুনিটি টুওয়ার্ডস ইউএসএ’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “পূর্বাচলে আন্তর্জাতিক মানের অ্যাক্রিডিটেড ল্যাব ও আধুনিক প্যাকিং হাউজ স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলেছে। আম রপ্তানির জন্য ভ্যাকুয়াম হিট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনের কাজও চলছে। চীন ও নেদারল্যান্ডসের সাথেও যৌথভাবে কাজ চলছে।”

বর্তমানে দেশের রপ্তানি মূলত পোশাকখাত নির্ভর উল্লেখ করে তিনি বলেন, “শুধু গার্মেন্টস নির্ভর থাকলে হবে না, বরং রপ্তানিকে বহুমূখী করতে হবে। সেটি করতে হলে কৃষিপণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি করতে হবে।

“কৃষিপণ্যের রপ্তানির সম্ভাবনা অনেক। এ সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে কৃষিপণ্য মাঠে উৎপাদন থেকে শুরু করে শিপমেন্ট পর্যন্ত নিরাপদ রাখতে কাজ চলছে।”

দুর্ভিক্ষ ও খাদ্য সংকটের প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী বলেন, “এ দেশটি চিরদিন দুর্ভিক্ষের দেশ, খাদ্য ঘাটতির দেশ হিসেবে পরিচিত ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে ২০০১-০৬ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালেও দেশে প্রতিবছর খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছিল। মানুষ না খেয়ে থেকেছে, না খেয়ে মারাও গেছে।

“আর গত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দেশ থেকে মঙ্গাকে চিরতরে দূর করেছে। এই সময়ে কোনো রকম খাদ্য সংকট হয়নি, একটি মানুষও না খেয়ে মারা যায়নি।”

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্র বছরে ১৮০ বিলিয়ন ডলারের কৃষিপণ্য আমদানি করে। সেখানে বাংলাদেশ রপ্তানি করে মাত্র ১.৫ বিলিয়ন ডলারের কৃষিপণ্য, শতকরা হিসাবে এক ভাগেরও কম। তাই যুক্তরাষ্ট্রে কৃষিপণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশের সম্ভাবনা ব্যাপক।  

অ্যামেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচাম) আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের এগ্রিকালচার অ্যাটাশে ফ্রান্সিস মেগান, অ্যামচামের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ ইরশাদ আহমেদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মো. কামাল।