বাংলাদেশ ব্যাংককে তিন হাজার সেট স্মারক মুদ্রা শুভেচ্ছা উপহার দিয়েছে জাপান।
Published : 09 Dec 2014, 07:46 PM
জাপানে প্রচলিত ৬টি ধাতব মুদ্রার সঙ্গে বাংলাদেশি ২ টাকার একটি ধাতব মুদ্রা যোগ করে এই সেট তৈরি করা হয়েছে।
টাকা জাদুঘর থেকে এসব মুদ্রার সেট কেনার সুযোগ থাকলেও দাম এখনও ঠিক হয়নি। জাপানে এই সেট ১৮ ডলারে বিক্রি হচ্ছে।
দেশটির ধাতব মুদ্রা প্রস্তুতকারী সরকারি সংস্থা ‘জাপান মিন্ট’ এসব স্মারক মুদ্রা তৈরি করেছে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গভর্নর ড. আতিউর রহমানের কাছে স্মারক মুদ্রা হস্তান্তর করেন ঢাকায় জাপানি রাষ্ট্রদুত শিরো সাদোশিমা।
ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মো. রাজী হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ডেপুটি গভর্নর নাজনীন সুলতানা, জাপান মিন্টের পরিচালক কাজুয়া ইজুমিসহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ‘জাপান মিন্ট’ বাংলাদেশ ব্যাংকের জন্য ৫০ কোটি পিস ২ টাকার ধাতব মুদ্রা প্রস্তুত করেছে। অন্য কোনো দেশের মুদ্রা তৈরির কাজটি জাপান মিন্টের জন্য ছিল প্রথম।
একারণে বিষয়টি স্মরণীয় করে রাখতে জাপানে প্রচলিত ৫০০, ১০০, ৫০, ১০, ৫ ও ১ ইয়েন মুলের ৬টি ধাতব মুদ্রার সঙ্গে বাংলাদেশের ২ টাকার ১টি করে ধাতব মুদ্রা যোগ করে প্রতিটি কয়েন সেট বানানো হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতি নিয়ে জাপান নিজেদের খরচে মোট ৮০ হাজার পিস বাংলাদেশি কয়েন তৈরি করেছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গভর্নর আতিউর রহমান বলেন, “অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে জাপান বাংলাদেশের বন্ধুরাষ্ট্র। বাংলাদেশের উন্নয়নে তারা এখন তৃতীয় বৃহত্তম সহযোগী দেশ। এছাড়া সপ্তম রপ্তানিকারক, আমদানিতে পঞ্চম ও বৈদেশিক বিনিয়োগে অষ্টম বৃহত্তম দেশ জাপান।
“বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগ বাড়াতে আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবো। জাপান মিন্ট থেকে ভবিষ্যতে আরও কয়েন প্রস্তুত করা হবে।” বলেন গভর্নর।
অনুষ্ঠানে জাপানি রাষ্ট্রদুত শিরো সাদোশিমা ও জাপান মিন্টের পরিচালক কাজুয়া ইজুমি ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মহাব্যবস্থাপক হুমায়ুন কবির।