নগদ ও সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য যথাযথভাবে আর্থিক গোয়েন্দা শাখার কাছে জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো সক্রিয় করতে নতুন নির্দেশনা আসছে।
Published : 14 Sep 2014, 11:26 PM
বিএফআইইউয়ের কাছে প্রতিবেদন পাঠাতে রিপোর্টিং এজেন্সিগুলোকে নতুন নির্দেশনা দেওয়ার বিষয়ে ব্যাংক ও আর্থিক খাত নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাগুলো একমত হয়েছে।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্মেলনকক্ষে গভর্নর আতিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সংস্থাগুলোর সমন্বয় কমিটির নিয়মিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠকের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী বলেন, মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ আইনের অধীনে নগদ ও সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেনের প্রতিবেদন রিপোর্টিং এজেন্সিগুলো যাতে যথাযথভাবে তথ্য পাঠাতে আরো সক্রিয় হয় সেবিষয়ে সবাই একমত হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি এবং জয়েন্ট স্টক রেজিস্ট্রার অ্যান্ড ফার্মস এই সমন্বয় কমিটির সদস্য। গভর্নর পদাধিকারবলে এই কমিটির চেয়ারম্যান।
এসব নিয়ন্ত্রক সংস্থার আওতায় থাকা প্রতিষ্ঠানগুলো মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ আইনের অধীনে রিপোর্টিং এজেন্সি হিসেবে বিবেচিত।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সন্দেহজনক লেনদেনের পাশাপাশি ১০ লাখ টাকার বেশি লেনদেন হলে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে জানাতে হয়।
এস কে সুর বলেন, “অনেক প্রতিষ্ঠান প্রতিমাসেই ‘নিল’ রিপোর্ট পাঠাচ্ছে। সব সময় রিপোর্ট ‘নিল’ হওয়ার কোনো কারণ আছে বলে আমরা মনে করি না। এজন্য তাদেরকে আরও সক্রিয় হয়ে যাচাই-বাছাই করে রিপোর্ট করতে হবে।
“একই সঙ্গে আমরা মোবাইল ফোন অপারেটরদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসিকে এই কমিটির সদস্য করার বিষয়ে একমত হয়েছি। কারণ মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস চালু করা হয়েছে। অধিকাংশ ব্যাংক এখন এই সেবা দিচ্ছে।”
এছাড়া বৈঠকে নতুন কোনো প্রতিষ্ঠান, যাদের নামের সঙ্গে ‘ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট’ বা সমজাতীয় শব্দ থাকবে তাদের নিবন্ধনের আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নেওয়ার জন্য জয়েন্ট স্টক রেজিস্ট্রার অ্যান্ড ফার্মসকে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বীমা কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে কতজন স্বাধীন বা নিরপেক্ষ পরিচালক থাকবে তা নির্ধারণের জন্য বিএসইসি ও আইডিআরএর মধ্যে একটি সভা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া এনজিওগুলোর পরিচালনা পর্ষদে একই পরিবারের কতজন সদস্য থাকবে তা নিয়ে আইন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান ডেপুটি গভর্নর সুর চৌধুরী।