দুই হাজার আট কোটি টাকার ছয়টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি-একনেক।
Published : 17 Jun 2014, 06:32 PM
এরমধ্যে চারটি নতুন ও দুটি সংশোধিত প্রকল্প রয়েছে।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এই প্রকল্পগুলো অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো- বন্যা ও নদীভাঙন ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিনিয়োগ কর্মসূচি, মুহুরি সেচ প্রকল্পের সেচ ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন, পশ্চিম গোপালগঞ্জ সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্প, শেরেবাংলা নগরে ডাক অধিদপ্তরের সদরদপ্তর নির্মাণ প্রকল্প, কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক নির্মাণ প্রকল্প, চিম্বুক-রুমা সড়কে সাংগু নদীর উপর ২১৭ দশমিক ১৫ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতুর (রুমা সেতুর) অবশিষ্ট কাজ সমাপ্তকরণ প্রকল্প।
সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল (লোটাস কামাল) বলেন, অনুমোদিত ছয় প্রকল্পের মোট বরাদ্দের মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৯৯৭ কোটি ২৮ লাখ টাকা। আর প্রকল্প সাহায্য এক হাজার ১০ কোটি ৪০লাখ টাকা।
বন্যা ও নদীভাঙন ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিনিয়োগ কর্মসূচির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮২৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। প্রকল্পটিতে সরকারি অর্থায়ন ১৮৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ৬৪২ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।২০১৮ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।
নদী ভাঙনের হাত থেকে সাধারণ জনগোষ্ঠীকে রক্ষাসহ ‘স্ট্যাট্রেজিক’ পয়েন্টগুলো ভাঙনের হাত রক্ষা করা এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।
মুহুরি সেচ প্রকল্পের সেচ ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন প্রকল্পটির কাজ শুরু হবে আগামী জুলাই মাসে। শেষ হবে ২০১৯ সালের জুনে।
প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৫৭ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। এরমধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে যোগান দেয়া হবে ৮৯ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। বাকি ৩৬৮ কোটি টাকা আসবে প্রকল্প সাহায্য থেকে।
প্রকল্পটির যৌক্তিকতা সম্পর্কে লোটাস কামাল বলেন, “খালের নীচ থেকে পাইপ দিয়ে পাম্পিং করে সেচের পানির ব্যবস্থা করাই প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য।”
এছাড়া সভায় ১২২ কোটি ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে পশ্চিম গোপালগঞ্জ সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ২০১৬ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
শেরেবাংলা নগরে ডাক অধিদপ্তরের সদরদপ্তর নির্মাণে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থে বাংলাদেশ ডাক অধিদপ্তর ২০১৭ সালের জুনের মধ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।
সভায় যে দুটি সংশোধিত প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে তার মধ্যে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক নির্মাণ প্রকল্প সম্পর্কে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “পর্যটন পণ্য হিসেবে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতকে তৈরি করার অংশ হিসেবে এ প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়েছে।”
সংশোধিত অন্য প্রকল্প হলো রুমা সেতুর অবশিষ্ট কাজ সমাপ্তকরণ প্রকল্প।
শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত সভায় শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, পানিসম্পদমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।