বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য বলছে, দেশের মানুষের গড় মাথাপিছু আয় আড়াই লাখ টাকা। সে হিসাবে একজনের মাসিক আয় ২০ হাজার টাকার বেশি।
Published : 21 Jul 2022, 01:17 AM
তবে ঢাকায় ১০ হাজার টাকারও কম বেতনে জীবন চালাতে হচ্ছে অনেককেই। তাদেরই একজন নাজমুল হোসেন, তেজগাঁওয়ের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে গাড়ি চালিয়ে মাসে ৯ হাজার টাকা বেতন পান তিনি। অন্যান্য আয় মিলিয়ে মাসে তার হাতে আসে প্রায় ১৫ হাজার টাকা।
গত ছয় বছরে বাজারদরে দফায় দফায় উল্লম্ফন ঘটলেও গাড়িচালক নাজমুলের আয় একই রয়ে গেছে। ফলে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাকে।
সরকারের মন্ত্রীরা মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ‘কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ার’ দাবি করে এলেও নিজের বাজার কাটছাঁট করেই চলতে হচ্ছে নাজমুলকে। মাছ-ডিম খাওয়া এখন প্রায় স্বপ্নের মতো হয়ে গেছে তার জন্য। মাস টানতে হচ্ছে ডাল, ভর্তা ও সবজি খেয়ে।
আয় ও ব্যয়ের ভারসাম্য ধরে রাখতে হিমশিম খাওয়া সংসারে তাই ‘পেট ভরে’ এমন খাবারই চলছে বহুদিন ধরে; খাবারের তালিকা থেকে দিন দিন ছাঁটাই হচ্ছে পুষ্টিকর খাবার।
নাজমুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এখন এমন খাবারই বেছে নিতে হচ্ছে, যাতে কেবল ‘বাঁচা যায়’।
যেভাবে চড়ছে দাম
মহামারীর পর ইউক্রেইন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতি অস্থির হয়ে ওঠার মধ্যে বাংলাদেশেও দ্রব্যমূল্য চড়ছে। দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে কম দামে খাওয়ানোর জন্য সরকার থেকে টিসিবির মাধ্যমে চেষ্টা করা হয়। ওদিকে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের কিছু দিন পরপর জিনিসপত্রের ঊর্ধ্বমুখী দরে নাকাল দশা। ফলে আপস করতে হচ্ছে খাবারের মানে।
সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ প্রতিদিন বাজারদরের যে তালিকা দেয়, তাতে গত এক বছরে দেশি পেঁয়াজ, আমদানি করা রসুন ও আদা ছাড়া সব নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে।
জুলাইয়ের বাজারদরে দেখা গেছে, এক বছরের ব্যবধানে চিকন চালের দাম বেড়েছে ১৫ শতাংশ। মাঝারি চাল প্রায় ৯ শতাংশ ও মোটা চালের দাম ৪ শতাংশ বেড়েছে।
খোলা আটা ৩২ শতাংশ, প্যাকেট আটা ৫২ শতাংশ, খোলা ময়দা প্রায় ৫১ শতাংশ, প্যাকেট ময়দা ৫৪ শতাংশ বেশি টাকায় কিনতে হচ্ছে।
মানভেদে মসুর ডালের দাম বেড়েছে ২৬ থেকে ৪৪ শতাংশ, মুগ ডাল বেড়েছে প্রায় ৪ শতাংশ। ব্রয়লার মুরগীর দাম দিতে হচ্ছে ৯ শতাংশেরও বেশি।
ডিমের দাম প্রায় ১৫ শতাংশ, আলুর ১৯ শতাংশ, চিনির ১৬ শতাংশ, লবণের দেড় শতাংশ বেড়েছে।
মূল্যস্ফীতি এরই মধ্যে নয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হালনাগাদ প্রতিবেদনে বলা হয়, পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে জুন মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার হয়েছে ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ, যা নয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
অর্থাৎ, গত বছরের জুন মাসে দেশের মানুষ যে পণ্য বা সেবা ১০০ টাকায় পেয়েছিলেন, এ বছর মে মাসে তা কিনতে ১০৭ টাকা ৫৬ পয়সা খরচ করতে হয়েছে।
টানা আট মাস ধরে ৬ শতাংশের বেশি রয়েছে মূল্যস্ফীতির হার। তাতে নিম্নবিত্ত আর মধ্যবিত্তের সংসার খরচ মেটাতে স্বাভাবিকভাবেই প্রচণ্ড চাপ পড়ছে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে খাবারের দাম।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, গত জুন মাসে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ হয়েছে, যা মে মাসে ৮ দশমিক ৩০ শতাংশ ছিল।
যেমন করে চলছে পেট?
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে ব্যয় বাড়তে থাকায় কৌশল করে কীভাবে জীবন চালাতে হচ্ছে, তার একটি হিসাব দিয়েছেন চল্লিশোর্ধ্ব নাজমুল।
মিরপুর ২ নম্বর সেকশনে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে দুই রুম সাবলেট দিয়েছেন। ড্রয়িং ও ডাইনিংকে রুম বানিয়ে পরিবার নিয়ে থাকছেন। তাতে মাসে ভাড়া পড়ছে সাড়ে ৩ হাজার টাকা।
ন্যাশনাল বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণিতে পড়া ছেলের বেতন, টিউশনসহ মাসের খরচ প্রায় চার হাজার টাকা। প্লে-তে পড়া মেয়ের স্কুল ও মক্তব খরচও দিতে হচ্ছে।
“এ পর্যন্তই আমার বেতন শেষ। এক্সট্রা কিছু ইনকামে খাবারের ব্যবস্থা হয়, চলতেও হয়। বউয়ের সেলাইয়ের কাজের টুকটাক ইনকামে কিছুটা চলা যায়,” বলেন নাজমুল।
আয় ও ব্যয়ের দুস্তর ব্যবধানে নাজমুলের পরিবারে ছাঁটাই হচ্ছে খাবার তালিকা।
“আগে দুধ খেতাম মাঝে মাঝে, এখন সেটার চেহারা দেখাই বন্ধ হয়ে গেছে। ডিম খেতাম প্রায়ই, এখন খাওয়াই হয় না। সপ্তাহে অন্তত পাঁচদিন মাছ খেতাম, এখন দুইদিন খাওয়া হয়।”
ডাল, সবজি, ভর্তাই এখন বেশি খাওয়া হয় নাজমুলের পরিবারে। আর সবজির ক্ষেত্রেও কম দামিগুলোই কেনা হয়।
পরিবারের সদস্যদের খাবার পর্যাপ্ত হচ্ছে না এবং তাদের শরীর ‘দুর্বল’ হচ্ছে, সেটা বুঝছেন নাজমুল, কিন্তু তার এখন ‘কিছু করার পথ নেই’।
মৌসুমী ফলের দাম নাগালের বাইরে জানিয়ে তিনি বলেন, “মেয়েটা লিচু পছন্দ করে, এ বছর একদিন লিচু কিনছি। ও আর কাউকে খেতে দেয়নি। এরপর আরেকদিন কিনতে পারিনি।
“ছেলে আম খেতে চাইছে, কিন্তু এ সিজনে এখনও কিনি নাই। কিনব কীভাবে? জরুরি খরচের পর পকেটে টাকা তো থাকতে হবে?”
এ পরিস্থিতিতে ছেলেকে পলিটেকনিকে পাঠিয়ে পড়াশুনার মধ্যেই দ্রুত কাজে ঢোকানোর কথা ভাবছেন নাজমুল।
“ও একটা কিছু যদি না করে, তাহলে সামনে কীভাবে কী করব? পড়াশুনার খরচ বাড়বে। সবকিছুর দাম বাড়বে; আয় কি বাড়বে?”
গত ৬ জুলাই প্রকাশিত জাতিসংঘের পাঁচটি সংস্থার ‘দ্য স্টেট অফ ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড নিউট্রিশন ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’ প্রতিবেদন বলছে, ২০২০ সালে বাংলাদেশে জনপ্রতি দৈনিক স্বাস্থ্যকর খাবারের খরচ দাঁড়িয়েছে ৩.০৬৪ ডলার, যা মেটানোর সামর্থ্য নেই দেশের ১২ কোটি ১১ লাখ বা ৭৩ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষের।
এই প্রতিবেদন অনুযায়ী, পরিবারের পুষ্টি জোগাতে মিরপুরের সুমন আলীর খরচ করতে হবে প্রায় ২৬ হাজার টাকা। অথচ গার্মেন্টসের সুইং সেকশনে কাজ করে মাস শেষে তিনি পান ৯ হাজার ২০০ টাকা।
এই বেতন থেকে বাড়ি ভাড়া মিটিয়ে দেড় বছরের সন্তান ও স্ত্রীকে চাহিদা মতো খাবার দিতে পারছেন না তিনি।
হতাশা ও ক্ষোভের সঙ্গে সুমন আলী বলেন, “আগে কিছু না থাকলেও আলু ভর্তা, ডাল, ভাত, ডিম ভাজি দিয়া চালান যাইত। এখন তো এগুলার দামও বেড়ে গেছে। খামু কী?”
সংসারে খাবারের তালিকায় কীভাবে কাটছাঁট চলছে, তা দেখিয়ে তিনি বলেন, “আগে ডিম খাইতাম, কিন্তু এখন সেইটা কমায় দিছি।
“পাঙ্গাস মাছ খাইতাম, সেটার দামও দেড়শ টাকার বেশি। তারপরও কম দামে মাছ পেলে সপ্তাহে দুই দিন খাইতে পারি। গরুর মাংস কবে লাস্ট খাইছি, মনে নাই। মুরগি যা আনি, বাচ্চা আর ওর মারে দেই। ডালও ১৩০ টাকা কেজি। গরিবের না খাইয়া মরা লাগব।”
সন্তান প্রসবের পর স্ত্রী চাকরি ছাড়ায় সংসারে আর্থিক চাপ আরও বেড়েছে বলে জানালেন সুমন আলী। আর ভালো খাওয়াদাওয়া না হওয়ায় শরীরেও কুলাচ্ছে না আর।
সুমন আলী বলেন, “আমাগো চলা অনেক কষ্ট হয়া গেছে। বেতন তো বাড়ে না, মাঝে মাঝে ওভারটাইম করি। কিন্তু জানেও কুলায় না। অসুস্থ হয়ে পড়ি। চিকিৎসা করমু কেমনে? মাইয়া অসুস্থ হইলেই তো ধার করতে হয়।”
আক্ষেপ করে তিনি বলেন, “মেয়েরে আগে পেয়ারা, কলা এগুলা কিনে দিতাম। এখন আর সেই উপায় নাই।
“নানা আবদার করে, কিন্তু সামর্থ্য তো নাই। অনেক খারাপ লাগে। তারপরও ওরে প্রতিদিন একটা কইরা ডিম খাওয়াই। মাছ-মাংস তো প্রতিদিন দিতে পারি না।”
১১ হাজার টাকা বেতনে সংসার না চলায় মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের একটি বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী শাহনেওয়াজকে প্রায়ই রাতে অতিরিক্ত কাজ করতে হয়।
খরচ বাড়তে থাকায় তৃতীয় ও সপ্তম শ্রেণিতে পড়া সন্তানদের টিউশনও বন্ধ করে দিতে হয়েছে।
খাওয়া-দাওয়া, সন্তানের খরচ দিয়ে কুলিয়ে উঠতে পারছেন না তিনি, সব সময় দুশ্চিন্তা থাকছে মাথায়।
শাহনেওয়াজের খাবার তালিকায় দুধের মতো পুষ্টিকর খাবার বাদ পড়ে গেছে অনেক বছর আগেই। এখন মাছ, মাংস, ডিমের পরিমাণ আগের চেয়ে কমেছে।
তার প্রশ্ন, “একটা ডিম ১০ টাকা, চারজনের পরিবারে আমি সপ্তাহে কতগুলা ডিম কিনতে পারব? কই, তেলাপিয়ার মতো মাছ আমরা আগে খেতাম। এখন তো এসবের দামও অনেক বেশি। ব্রয়লারের দাম মাঝে মাঝে কমে, কিন্তু একটা কিনলেই আড়াইশ চলে যায়। তাহলে দিনের বাকি খরচ আসবে কোথা থেকে?”
কম দামি সবজি আর পাতলা ডালে এখন খাবার চালাতে হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “পেঁপে, কুমড়ার মতো সস্তার সবজিও আর সস্তায় কেনা যায় না। এজন্য কয়েক জাতের সবজি এখন খাওয়া হয় না।”
শাহনেওয়াজ জানান, বাচ্চাদের জন্য মাঝে মাঝে ফল কিনলে তাদের খাতা-কলমের মত সাধারণ খরচ দেওয়া নিয়ে চিন্তায় থাকতে হয়।
“ওদের তো পুষ্টিকর খাবার দিতে পারি না। চেষ্টা করি দেশি কম দামি ফল কিনতে। একার ইনকামে তো সংসার চালানো যাচ্ছে না।”
টেনেটুনে চলা মাসে কেউ অসুস্থ হলে পরের মাসের খাবারে আরও টান পড়ে বলে জানান তিনি।
ঢাকার কারওয়ান বাজারের একটি প্রতিষ্ঠানের অভ্যর্থনাকর্মী উজ্জ্বল আহমেদকে মাসের খাবারের জন্য নির্ভর করতে হয় গ্রামের বাড়ির উপর। সন্তানসম্ভবা স্ত্রীকে নিয়ে মগবাজারে থাকতে তার বেতনের ৮ হাজার টাকার বড় অংশ শেষ হয়ে যায়।
উজ্জ্বল বলেন, “গ্রামে খামার আছে, সেখান থেকে প্রতি মাসে খাবার পাঠায়। এসব দিয়েই চলতে হয়। এর বাইরে একটা ডিম কেনার সামর্থ্যও আমার থাকে না।”
স্ত্রীর বাড়তি পুষ্টির প্রয়োজন মনে করলেও কোনো উপায় খুঁজে পাচ্ছেন না উজ্জ্বল।
“বাসা ভাড়া, যাতায়াত খরচ, মোবাইল খরচ আছে। সাবানের মতো জিনিসের দামও বেড়েছে। এরপর আর দুইটা ফল হাতে নিয়ে বাসায় ঢুকার টাকা থাকবে কী করে?”
পুষ্টির টানাপড়েন
প্রোটিনের চাহিদা পূরণে ডিম একটি বড় ভূমিকা পালন করে। ডিমের কুসুম ও সাদা অংশে ৬ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়।
এভারকেয়ার হাসপাতালের পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ডিম একটি প্রথম শ্রেণির প্রোটিন। আমাদের দেহের পুষ্টির চাহিদা পূরণে প্রথম শ্রেণির এই প্রোটিন সবচাইতে ভালো। কারণ পুরো প্রোটিনটা শরীরের কাজে লাগে।”
অপুষ্টিজনিত কারণে দেশের ৯২ লাখ শিশু রক্তস্বল্পতাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছে জানিয়ে ২০১৬ সালে বিশ্ব ডিম দিবসে এক আলোচনা সভায় পুষ্টির চাহিদা মেটাতে ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা ।
কিন্তু সেই ডিমেরও বাজারও চড়া হচ্ছে দিন দিন।
কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, চর্বি, শাকসবজি, ফলমূল ও পানি- মানুষকে প্রতিদিন এই ছয়টি উপাদান সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার কথা বলেন পুষ্টিবিদরা।
‘দ্য স্টেট অফ ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড নিউট্রিশন ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, খাবার নিয়ে ২০১৯-২১ সালে বাংলাদেশে তীব্র অথবা মাঝারি মাত্রার অনিশ্চয়তায় ছিলেন ৩১ দশমিক ৭ শতাংশ বা ৫ কোটি ২৩ লাখ মানুষ। এদের মধ্যে নিশ্চিতভাবে ১ কোটি ৭৫ লাখ মানুষ তীব্র খাদ্য অনিশ্চয়তায় ছিলেন। এই সময়ে দেশের ১১ দশমিক ৪ শতাংশ বা ১ কোটি ৮৮ লাখ মানুষ অপুষ্টিতে ভুগেছিলেন।
পুষ্টিবিদ অধ্যাপক খালেদা ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক ৫০ গ্রাম প্রোটিন দরকার হয়।
“শিশুদের ক্ষেত্রে যত কেজি ওজন, তত গ্রাম প্রোটিন প্রয়োজন। আরও ছোটদের ওজনের দেড় গুণ গ্রাম প্রোটিন দিতে হবে।”
শরীরের জন্য কার্বোহাইড্রেট প্রয়োজন হয় ৪০০ গ্রাম। শাকসবজি ৩০০ গ্রাম (পাতা ছাড়া সবজি ১০০ গ্রাম, শাক ২০০ গ্রাম) ও ১০০ গ্রাম ফলমূল, তেল বা চর্বি ৪০ গ্রামের মত এবং ডালজাতীয় খাবার ৫০ গ্রাম দরকার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের এই পরিচালক মনে করছেন, আয়ের তুলনায় সামঞ্জস্যহীনভাবে দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে এখন সবচেয়ে বেশি ঘাটতি হচ্ছে ‘প্রোটিনে’।
তিনি বলেন, “যে খাবারগুলোর দাম অনেক বেশি বেড়ে গেছে, সেগুলো খেতে পারছে না মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তরা।
“আগে বলা হত, ডাল, শাকসবজি, ডিম- এগুলোর দাম কম। ডিম, ব্রয়লার মুরগি, ডাল- এগুলো দরিদ্ররা খেতে পারত। কিন্তু এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি, সেগুলোও অনেকে খেতে পারছে না। ফলে তাদের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হচ্ছে না।”