অপুষ্টিজনিত কারণে দেশের ৯২ লাখ শিশু রক্তস্বল্পতাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছে বলে এক আলোচনা সভায় জানিয়ে পুষ্টির চাহিদা মিটিয়ে সমস্যার সমাধানে ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা ।
Published : 14 Oct 2016, 09:47 PM
শুক্রবার বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভা থেকে এই পরামর্শ আসে।
এতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক প্রিয় মোহন দাস বলেন, “বাংলাদেশের প্রায় ২৪ শতাংশ নারী দীর্ঘমেয়াদী অপুষ্টির সমস্যায় ভুগছেন; আর অপুষ্টির শিকার মায়েদের কারণে ৯২ লাখ শিশু রক্ত স্বল্পতায় ভুগছে।
“প্রচুর শিশু খর্বাকায়, কম ওজনের এবং শারীরিকভাবে দুর্বল হচ্ছে বলে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে।”
পুষ্টিহীনতার কারণে শিশুরা রাতকানা, রক্ত স্বল্পতা, হাড্ডিসার হয়ে যাওয়া ইত্যাদি রোগে ভোগে বলে জানান ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের পোল্ট্রি সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক সুভাষ চন্দ্র দাস।
অপুষ্টি থেকে দেশকে মুক্ত করতে ডিম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে মন্তব্য করেন এই দুই পোল্ট্রি বিশেষজ্ঞ।
সরকারের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাষ্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) যৌথভাবে এ আলোচনার আয়োজন করে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অজয় কুমার রায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, “সরকার মাথাপিছু ডিমের কনজাম্পশন বছরে ১০৪টিতে উন্নীত করার লক্ষ্যে কাজ করছে। মাছ, মাংস, ডিম, দুধ এ খাদ্যগুলোর জন্য আমরা বিদেশের উপর নির্ভরশীল হতে চাই না।”
দেশীয় পোল্ট্রি শিল্পের উন্নয়নের স্বার্থেই সরকার ডিম (টেবিল এগ) আমদানি নিষিদ্ধ করে রেখেছে বলে জানান মন্ত্রী ছায়েদুল হক।
ডিমকে ‘সুপার ফুড’ হিসেবে আখ্যায়িত করে অজয় কুমার রায় বলেন, “ডিমের মত এত স্বল্পমূল্যের প্রাণিজ আমিষ দ্বিতীয়টি নেই। মা, শিশু, যুবক, বৃদ্ধ সব বয়সী মানুষের জন্য ডিম একটি আদর্শ খাদ্য। মেধাবী জাতি গড়তে হলে ডিম খাওয়ার পরিমান আরও বাড়াতে হবে।”