রাজস্ব আয়ের উচ্চ লক্ষ্যমাত্রার দিকটি দেখিয়ে তিনি বলেছেন, “গত বছর আমরা আড়াই লাখ কোটি টাকার মতো পেয়েছি, এবছর প্রায় ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে ধরা হয়েছে।
“সেটা কতটা বাস্তবসম্মত প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। বাজেটটা আরো বাস্তবসম্মত হতে পারত। সে ক্ষেত্রে বাজেট নিয়ে এখন যে প্রশ্নগুলো উঠেছে সেটা হয়ত উঠত না।”
রোববার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আয়োজনে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটর উপরে এক অনলাইনআলোচনায় একথা বলেন আতিউর।
অর্থনীতিরএই শিক্ষক করোনাভাইরাস মহামারীর এই কালে বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে আরও গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ ছিল বলে মনে করেন।
তিনি বলেন, “অর্থনীতির দৃষ্টিতে এই বাজেটকে দেখলে আমাদের মনে হয় ভুল হবে। আমি মনে করি, মানুষ বাঁচলে অর্থনীতি বাঁচবে। আগে মানুষ বাঁচানোর জন্য বাজেট দিতে হবে।
“এই বাজেটের মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত ছিল কিভাবে আমরা বর্তমান সংকটকে কাটিয়ে উঠব। যদি বেঁচে থাকি তবে অনেক পরিকল্পনা করতে পারব।”
“আমাদের স্বাস্থ্য খাতে এমনভাবে টাকা খরচ করা দরকার ছিল যাতে আমরা মানুষ বাঁচাতে পারি, মানুষ যেন চিকিৎসা পায়, অক্সিজেন পায়,” বলেন আতিউর।
তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে বাজেট দেওয়া যে কঠিন, তাও বলেন তিনি।
“এবারের বাজেটের প্রেক্ষাপট খুব কঠিন। এই অবস্থায় সবার জন্য বাজেট দেওয়া খুব কঠিন। একটা বিশ্বযুদ্ধের মতো হচ্ছে, সেই বিশ্বযুদ্ধের মধ্যেই আমরা বাজেট দিয়েছি।”
আলোচনায় পরিকল্পনা সচিব মো. নুরুল আমিন বলেন, “আমরা যদি আগামী এক দেড় মাসের মধ্যে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি করতে পারি, আগামী ঈদে যদি কেনাকাটা ঠিকমতো হয়, তাহলে এই রাজস্ব আহরণ করা সমস্যা হবে না।
“করোনা এখন আমাদের মূল সমস্যা যদি এই সমস্যা দ্রুত শেষ হয়, তাহলে, দীর্ঘস্থায়ী না হয় আমরা খুব দ্রুত উন্নতির ধারায় ফিরে আসব।”
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি শামস মাহমুদ বলেন, “বাজেট যদি বাস্তবায়ন করতে হয়, তাহলে আমাদেরকে অবশ্যই কঠোর লকডাউনের পথে হাঁটতে হবে।
“এভাবে যদি চলতে থাকে, তাহলে কিন্তু বাজেট বাস্তবায়ন হবে না। এখন যেভাবে চলছে সেভাবেই চলতে থাকলে সামনে আমদের রপ্তানি কমে যাবে। অনেক ব্যবসার আয় কমে যাবে, রাজস্ব আদায় হবে না।”