৬ মাসে বৈদেশিক অর্থছাড় বেড়েছে ১০ শতাংশ

চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে (জুলাই থেকে ডিসেম্বর) বিভিন্ন দাতা দেশ ও সংস্থা মিলে বাংলাদেশের অনুকূলে ২৮৮ কোটি ৫০ লাখ ডলার ছাড় করেছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Feb 2019, 05:44 PM
Updated : 5 Feb 2019, 05:44 PM

প্রথম ছয় মাসে বৈদেশিক সহায়তার এ ছাড় গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার বা ১০ শতাংশ বেশি।

চলতি অর্থবছরের জন্য সরকার ৭১৭ কোটি ডলার বিদেশি সহায়তা ছাড়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে দাতাদের কাছে থেকে ২৬১ কোটি ৭০ লাখ ডলার ছাড় হয়েছিল। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানতে চাইলে ইআরডি সচিব মনোয়ান আহমেদ বলেন, “আমাদের প্রকল্প বাস্তবায়ন সক্ষমতা দিন দিন বাড়ছে। আবার প্রতিবছর বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বরাদ্দ ও বৈদেশিক সহায়তার অর্থছাড়ের লক্ষ্যমাত্রাও বাড়ছে। তাই প্রতিবছর অর্থছাড় বাড়বে।”

অর্থবছরের শেষ দিকে অর্থছাড় আরও বাড়ার আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “দেশে এখন অনেকগুলো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন চলমান রয়েছে। এসব প্রকল্পের কাজও বেশ দ্রুত এগোচ্ছে। ”

ইআরডি‘র সংশ্লিষ্ট একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, ডিসেম্বর পর্যন্ত উন্নয়ন সহযোগীরা ঋণ হিসেবে ছাড় করেছে ২৭৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার। আর অনুদান হিসেবে ছাড় হয়েছে ১৫ কোটি ডলার।

অর্থবছরের ছয় মাসে সরকার দাতাদের পুঞ্জিভূত পাওনা থেকে ৭৪ কোটি ৭৬ লাখ ডলার পরিশোধ করেছে। এরমধ্যে আসল হিসেবে পরিশোধ করা হয়েছে ৫৬ কোটি ৯৬ লাখ ডলার, আর সুদ হিসেবে পরিশোধ করা হয়েছে ১৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার।

গত অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে ২৬১ কোটি ৭০ লাখ ডলার ছাড় হয়েছিল। এরমধ্যে ঋণের পরিমাণ ছিল ২৪১ কোটি ৭০ লাখ ডলার। আর অনুদান হিসেবে ছাড় হয়েছিল ২০ কোটি ডলার।

প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরে নিট অর্থছাড় বেড়েছে ১০ শতাংশ।  চলতি অর্থবছরে নিট অর্থ ছাড় হয়েছে ২৩১ কোটি ৫৪ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের এইক সময়ে নিট অর্থছাড়ের পরিমাণ ছিল ২০৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার।

ইআরডির কর্মকর্তারা জানান, গত অর্থবছরে ৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি ছাড় করেছে উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও সংস্থাগুলো। চলতি অর্থবছরও মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ, মেট্রোরেল, পদ্মা রেল সংযোগ, কর্ণফুলী টানেল এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ অনেকগুলো মেগা প্রকল্পের বাস্তবায়ন চলছে। তাই এবার গত বছরের চেয়ে বেশি বৈদেশিক অর্থ ছাড় হবে বলে আশা করা হচ্ছে।