আগামী বাজেটে ব্যাংক খাতের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার দিক-নির্দেশনা চেয়েছে ব্যবসায়ীদের অন্যতম সংগঠন এমসিসিআই।
Published : 08 Apr 2018, 06:26 PM
এমসিসিআই সভাপতি নিহাদ কবিরের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে সহসভাপতি গোলাম মঈনুদ্দিন বলেন, “বর্তমানে সব ব্যাংকই তারল্য সঙ্কটে ভুগছে। এ অবস্থা থেকে ব্যাংকগুলোকে উত্তরণ না ঘটাতে পারলে সম্মুখে বড় সমস্যায় পড়তে হবে। তাই এবারের বাজেটে ব্যাংক খাতের প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে।”
আগামী জুন মাসে যে বাজেট অর্থমন্ত্রী দিতে যাচ্ছেন তা হতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের শেষ বাজেট।
শুধু নির্বাচন না দেখে যেন সত্যিকার অর্থে দেশের উন্নতির দিকে নজর রেখে বাজেট দেওয়া হয়, সরকারের কাছে সেই আহ্বান রেখেছে এমসিসিআই।
বাজেটে দেশীয় শিল্পের সুরক্ষার সুপারিশ জানিয়ে ব্যবসায়ীদের সংগঠনটি বলেছে, “স্থানীয় শিল্পসমূহ যে কর বৈষম্যের মুখোমুখি হয়, তা দূর করা আবশ্যক। এজন্য মৌলিক কাঁচা মাল ও মধ্যম পণ্যের ওপর কর হ্রাস করা প্রয়োজন। তাতে দেশীয় শিল্পের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়বে।”
এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, “অর্থবছরের নীতির ধারবাহিকতায় এবারও দেশীয় শিল্পের সুরক্ষার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ থাকতে পারে।”
কর নিরূপণ ও নেওয়ার ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি চালুর সুপারিশ করে তারা বলেছে, এতে কর আদায়ও বাড়বে।
কোম্পানির লভ্যাংশের উপর কর হার এক স্তরের করতেও আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
মঈনুদ্দিন বলেন, “বর্তমানে ব্যক্তি করদাতার জন্য সর্বোচ্চ আয়কর হচ্ছে ৩০ শতাংশ। চেম্বার কর হ্রাসের দাবি করে এলেও রাজস্ব বোর্ড তার পরিবর্তে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশে উন্নীত করেছে। এই সামান্য হ্রাস ব্যক্তি করদাতাদের ক্ষেত্রে তাদের সত্যিকার আয় প্রকাশে উৎসাহিত করবে এবং কর ফাঁকি অনেকাংশে হ্রাস পাবে।”
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, “লভ্যাংশের উপর কর এক স্তরে আনার জন্য অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হচ্ছে।“
সামষ্টিক অর্থনীতির ক্ষেত্রে ‘কিছু সমস্যা’র কথা উল্লেখ করে মঈনুদ্দিন বলেন, এসব সমস্যা সমাধান না হলে আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি অর্জন ব্যাহত হতে পারে।
মঈনুদ্দিন বলেন, “ভৌত অবকাঠামোগত দুর্বলতা, গ্যাস ও বিদ্যুতের স্বল্পতা শিল্পোন্নয়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসডিজি অর্জনের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হলে উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির উন্নয়নে এনবিআরের সমর্থন জোগাতে হবে।”