যুক্তরাষ্ট্রে রাখা বাংলাদেশের অর্থ লোপাটের প্রেক্ষাপটে ডাকা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের জরুরি বৈঠক স্থগিত করা হয়েছে।
Published : 14 Mar 2016, 07:53 PM
অর্থ চুরি এবং তার তদন্ত নিয়ে অর্থমন্ত্রী মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন ডাকার পর সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ব্যাংকের এই সভা স্থগিতের ঘোষণা আসে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক শুভংকর সাহা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিশেষ কারণে পরিচালনা পর্ষদের সভা স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী সভার তারিখ এখনও নির্ধারণ হয়নি।”
অর্থ চুরির এই ঘটনা না জানানোয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উপর ক্ষুব্ধ আবুল মাল আবদুল মুহিত মঙ্গলবার সকালে অনুষ্ঠেয় সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরার কথা জানিয়েছেন।
তিনি সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শীর্ষ ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আসছে।
এই কেলেঙ্কারির মধ্যে আইএমএফ বৈঠকে অংশ নিতে ভারত সফরে যাওয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান সোমবার বিকালেই দেশে ফিরেছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় গভর্নর সভাপতিত্ব করে থাকেন।
সোমবার বিকালে ফেরার পর গভর্নরের অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার গুঞ্জন শোনা গেলেও তা হয়নি।
বিমানবন্দরে কয়েকজন সাংবাদিক কথা বলার চেষ্টা করলেও আতিউর কোনো কথা বলেননি।
গভর্নর সচিবালয়ের মহাব্যবস্থাপক এ এফ এম আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, “স্যার (আতিউর) আজ গণমাধ্যমের সাথে কোনো কথা বলবেন না।”
অর্থ লোপাটের খবর প্রকাশের পর রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব এম আসলাম আলম কেন্দ্রীয় ব্যাংকে যান। তিনি চারজন ডেপুটি গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক করেন।
ওই বৈঠকেই আসলাম পরিচালনা পর্ষদের একটি জরুরি সভা ডাকার পরামর্শ দিয়ে এসেছিলেন।পদাধিকার বলে তিনি নিজেও বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের একজন সদস্য।
ওই বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র শুভংকর সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “মঙ্গলবার জরুরি বোর্ড সভা ডাকা হয়েছে। ওই বোর্ড সভায় পরিচালনা পর্ষদের নিয়মিত এজেন্ডার পাশাপাশি এই হ্যাকিংয়ের বিষয়েও আলোচনা হবে।”
সচিব আসলাম বলেছিলেন, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি পরিচালনা পর্ষদের সভা এবং তারপর ২৮ ফেব্রুয়ারি ও ১ মার্চ অডিট কমিটির সভা হলেও বাংলাদেশ ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদকে কিছুই জানায়নি।
রিজার্ভ চুরি নিয়ে সমালোচনার মধ্যেই রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. জামালউদ্দিন আহমেদ ও বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষণা পরিচালক রুশিদান ইসলাম রহমানকে সদস্য নিয়োগ দেয় সরকার।