জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন অর্থমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্রে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ লোপাটের প্রেক্ষাপটে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 March 2016, 12:33 PM
Updated : 14 March 2016, 02:12 PM

“যা বলার সংবাদ সম্মেলনেই বলব,” দিনভর আলোচনার মধ্যে সোমবার রাতে সচিবালয় থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের বলেছেন মুহিত।

ফিলিপিন্সের ডেইলি ইনকোয়ারারে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি  প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন ডলার লোপাটের খবর এলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে আলোচনার ঝড় ওঠে।

ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে অর্থ লোপাট হলেও তা চেপে গিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যেভাবে তা ‘সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছে’ তাকে ‘অযোগ্যতা’ অভিহিত করে দৃশ্যত ক্ষুব্ধ মুহিত রোববার বলেছিলেন, এই ‘স্পর্ধার’ জন্য ‘অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দেবেন বলেও জানিয়েছিলেন মুহিত।

তবে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বললেও দুপুর পর্যন্ত সেই বিবৃতি না আসায় সাংবাদিকরা অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে যান।

তখন অর্থমন্ত্রী বলেন, “আর কিছু স্টেটমেন্ট নাই। গভর্নর ফিরে আসলে আই উইল... স্টেটমেন্ট। সেটা আজও হতে পারে, কালও হতে পারে। কারণ সে কখন আসবে, তার কোনো ঠিক নাই।”

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হলেও আলোচনার ফলাফল সাংবাদিকদের বলেননি অর্থমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “আই অ্যাম ওয়েটিং ফর আতিউর। আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করব বলেছিলাম, আলোচনা আমার হয়েছে।”

এরপর নানা আলোচনার ডালপালা ছড়ায় সচিবালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকে।

ভারত থেকে ফিরে গভর্নর আতিউর বিকালেই অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আসছেন- এমন খবরে বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীরা অর্থ মন্ত্রণালয়ে ভিড় করে। তবে আতিউরকে দেখা যায়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গভর্নরের সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর কথা হয়েছে। আগামীকাল (মঙ্গলবার) তিনি অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন।”

এর মাঝেই সন্ধ্যায় অর্থমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের ঘোষণা আসে।

মঙ্গলবার সকাল ১১টায় এই সংবাদ সম্মেলন হবে বলে সাংবাদিকদের জানান তার একান্ত সচিব এসএম জাকারিয়া হক।

এর আগে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব এম আসলাম আলম, অতিরিক্ত সচিব গোকুল চাঁদ দাশ ৬টার সময় অর্থমন্ত্রীর কক্ষে প্রবেশ করেন।

তাদের সঙ্গে কথা বলে রাতে বেরিয়ে যাওয়ার সময় মুহিত প্রায় সারাদিন ধরে অপেক্ষারত সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে আবার পড়েন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, “আপনাদের (সাংবাদিকদের) এই সার্ভিলেন্স যদি বাংলাদেশে ব্যাংকে হত, তাহলে ভালো হত। দেশের টাকা বেঁচে যেত।”

সাংবাদিকরা আরও প্রশ্ন করলে তিনি তা এড়িয়ে “যা বলার কাল সংবাদ সম্মেলনেই বলব, এখন কিছুই বলব না” বলেই বেরিয়ে যান।