ঢাকার বহু প্রত্যাশিত মেট্রোরেল নির্মাণের জন্য স্থাপনা নির্মাণের আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে এসেছে।
Published : 27 Jan 2016, 07:49 PM
আগামী ফেব্রুয়ারিতে প্রথম পর্যায়ের লাইন স্থাপনের দরপত্র আহ্বান করা হবে বলে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে।
উত্তরা থেকে মিরপুর-আগারগাঁও হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত যাবে মেট্রোরেল। এর মধ্যে থাকবে ১৬টি স্টেশন। ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করবে ২৪ জোড়া ট্রেন।
২০১২ সালে একনেকে পাস হওয়ার সময় ২০২৪ সালের মধ্যে এমআরটি-৬ (মেট্রোরেল) প্রকল্প বাস্তবায়নের সময়কাল ধরা হয়।
এখন জরিপ কাজ চলছে। প্রকল্পের ১২টি জরিপের মধ্যে সাতটির কাজ শেষ হয়েছে বলে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন ঢাকা মাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলেপমেন্ট প্রজেক্টের পরিচালক মো. মোফাজ্জেল হোসেন।
প্রকল্পের অগ্রগতি জানাতে মেট্রো রেল প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষ রাজধানীর প্রবাসী কল্যাণ ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে।
মোফাজ্জ্বেল জানান, গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর ‘বেসিক ডিজাইনের’ কাজ শেষ হয়েছে। এ বছরের অগাস্টে ‘ডিটেইলড ডিজাইনের’ কাজও শেষ হবে। রুট চূড়ান্ত করতে মূল জরিপ ও পুনঃজরিপ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। মাটির মান পরীক্ষায় কিছু জরিপ চলতি মাসে চূড়ান্ত হবে।
২০১৫ সালের মে মাসে শুরু হওয়া ‘ইউটিলিটি সার্ভে’ চলতি বছরের মার্চে শেষ হবে। মাটির নিচের টেলিফোন, গ্যাস, পানিসহ অন্যান্য সেবামূলক সংযোগগুলোর অবস্থান নির্ণয়ে এই জরিপ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এমআরটি লাইন-৬ নির্মাণের জন্য কয়েকটি ধাপে কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে।
উত্তরায় টার্মিনাল নির্মাণের জন্য চূড়ান্ত হওয়া জমির মাটিকে ভবন নির্মাণ উপযোগী করতে গত বছরের এপ্রিলে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। সে অনুযায়ী আগ্রহীদের মধ্যে থেকে আগামী ফেব্রুয়ারিতে যোগ্যদের সঙ্গে চুক্তি করা হবে। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাটি উন্নয়ন প্রকল্পটি শেষ করার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে।
উত্তরায় ভবন নির্মাণের জন্য চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে দরপত্র ডাকার পরিকল্পনা রয়েছে। এরপর বাস্তবায়নকারী সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করে ২০২০ সালের মধ্যে ভবন নির্মাণ শেষ করার পরিকল্পনা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষের।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রথম পর্যায়ে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত এমআরটি-৬ এর প্রথম ধাপের নির্মাণ কাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হবে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে। ডিসেম্বরে চুক্তি সই হবে। ২০১৯ সালের অক্টোবরের মধ্যে এই কাজ শেষ করার লক্ষ্য।
উত্তরার মাস্কাট প্লাজার কাছ থেকে শুরু করে উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর-১১, মিরপুর-১২, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, বিজয় সরণী, ফার্মগেইট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় প্রেস ক্লাব ও মতিঝিলে মোট ১৬টি স্টেশন থাকবে মেট্রোরেলের।
প্রস্তাবিত এমআরটি লাইন-৬ রুটের বাস্তবায়নে ২১ হাজার ৯১৯ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এর মধ্যে দশমিক ০১ ভাগ সুদহারে জাপানি সাহায্য সংস্থা জাইকা দেবে ১৬ হাজার ৫১৯ কোটি টাকা। প্রকল্পের বাকি ৫ হাজার ৩০০ কোটি টাকা জোগাবে সরকার।