অর্থনীতির শ্বেতপত্র পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে সহায়তা করবে বলে মনে করেন তিনি।
Published : 18 Jan 2025, 09:57 PM
দেশের আর্থিক খাতের সমস্যাগুলো নিয়ে অতীতে সংস্কারের অনেক সুপারিশ থাকলেও সেসব বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলো অনীহা দেখিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান।
এ নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আর্থিক খাতের সমস্যাগুলো সঠিকভাবে কখনোই ডায়াগনসিস করা হয়নি। এজন্য প্রকৃত সমস্যা ধরা পড়েনি, তাই সমাধানের উদ্যোগগুলো টেকসই হয়নি।’’
শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিআইসিসি কার্নিভাল হলে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি আয়োজিত সিম্পোজিয়ামের সমাপনী অধিবেশনে রেহমান সোবহান এ কথা বলেন।
‘শ্বেতপত্র এবং অতঃপর: অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, সংস্কার জাতীয় বাজেট’ শীর্ষক এ সিম্পোজিয়ামে সংস্কার উদ্যোগ, রাজস্ব আদায়, খেলাপি ঋণ, রির্জার্ভ ও মূল্যস্ফীতির সমস্যা নিয়ে কথা বলেন তিনি।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক এই উপদেষ্টা বলেন, অর্থনীতির শ্বেতপত্রটি তৈরি করা হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ইচ্ছায়। এটি করা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা এবং তার সরকারকে দেশের সমস্যাগুলি সম্পর্কে সতর্ক করতে।
এই শ্বেতপত্র অর্থনীতির পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে সহায়তা করবে মন্তব্য করে রেহমান সোবহান বলেন, “প্রতিবেদন দেখে আমার মনে হয়েছে, সংস্কারের বিষয়গুলোর বেশিরভাগই সম্ভাব্য নির্বাচিত সরকারের জন্য হবে।”
অর্থনীতিতে যে সমস্যাগুলো আছে, তা অন্তর্বতীকালীন সরকারের উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া। এসব সমস্যা শুধু গত ১৫ বছরের নয়, তারও আগ থেকেই ধীরে ধীরে বড় হয়েছে বলে মনে করেন এ অর্থনীতিবিদ।
দীর্ঘদিন ধরে সমস্যাগুলো সমাজের সঙ্গে গেঁথে গিয়েছে, নিজের এমন পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে রেহমান সোবহান বলেন, মুল্যস্ফীতি, রিজার্ভ ও বৈদেশিক বাণিজ্যর ভারসাম্য ঘাটতি ইত্যাদি ব্যবস্থাপনাগত সমস্যা। গত কয়েক বছরে তা আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে।
এর সঙ্গে রাজস্ব আহরণ সমস্যা রয়ে যাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, “আজ আমরা এমন একটা অবস্থানে আছি, যেখানে আমরা হঠাৎ করেই একটা সমাধান খুঁজতে চাচ্ছি। এটি এমন একটি সমস্যা, যা সহজে চলে যাবে না।’’
খেলাপী ঋণ এরশাদ সরকার থেকে শুরু করে বিএনপি ও পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের সময়ে আরো বড় আকার ধারণ করেছে। সেই বিষয়টি টেনে রেহমান সোবহান বলেন, এটি ব্যবস্থার গভীরে গেঁথে আছে।