ছয় মাস কমার পর বাড়ল মূল্যস্ফীতি, প্রতিমন্ত্রী বলছেন ‘স্বাভাবিক’

“বর্তমানে সারা বিশ্বেই উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। সেই তুলনায় আমাদের মূল্যস্ফীতির হার অনেকটাই স্বাভাবিক,” বললেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 March 2023, 01:11 PM
Updated : 12 March 2023, 01:11 PM

পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে টানা ছয়মাস কমার পর আবার বাড়ল মূল্যস্ফীতির হার; আর এই হার শহরের চেয়ে গ্রামে বেশি।

ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় (পয়েন্ট টু পয়েন্ট) বেড়ে হয়েছে ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

অর্থাৎ গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের বাজারে যে পণ্য বা সেবা ১০০ টাকায় পাওয়া যেত, গত মাসে সেই পণ্য বা সেবা নিতে ব্যয় করতে হয়েছে ১০৮ দশমিক ৭৮ টাকা।

ফেব্রুয়ারি মাসের এই মূল্যস্ফীতি তার আগের মাস জানুয়ারির তুলনায় ০ দশমিক ২১ শতাংশীয় পয়েন্ট বেশি।

এক দশকের রেকর্ড ভেঙে গত বছরের অগাস্ট মাসে দেশে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৮৪ শতাংশে পৌঁছায়। এরপর টানা পাঁচ মাস তা কমে জানুয়ারিতে ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশে নেমে আসে।

ফেব্রুয়ারিতে খাদ্য উপখাতের মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ, যা জানুয়ারিতে ৭ দশমিক ৭৬ শতাংশ ছিল।

আর খাদ্যবহির্ভূত উপখাতে মূল্যস্ফীতি জানুয়ারির ৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ থেকে কমে ফেব্রুয়ারিতে হয়েছে ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ।

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভার পর ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেন, “ফেব্রুয়ারি মাসে যে পরিমাণ মূল্যস্ফীতি বেড়েছে এটা সামান্য। এটা অনেকটাই স্থিতিশীল।

“বর্তমানে সারা বিশ্বেই উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। সেই তুলনায় আমাদের মূল্যস্ফীতির হর অনেকটাই স্বাভাবিক।”

তার ভাষায়, কোনো পণ্যের চাহিদা বেড়ে গেলে বাজারে সেই পণ্যের দাম কিছুটা বাড়তেই পারে। এতে ‘দুশ্চিন্তার কিছু নেই’।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আগামী রমজানকে কেন্দ্র করে কিছু পণ্যের চাহিদা বাড়বে। সেই চিন্তা মাথায় রেখে সরকার প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করে দেশে আনা হয়েছে। সুতরাং রমজান মাসেও মূল্যস্ফীতি সহনীয় থাকবে।”

মূল্যস্ফীতি বেশি গ্রামে

পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফেব্রুয়ারি মাসে শহরের চেয়ে মূল্যস্ফীতি বেশি ছিল গ্রামে।

গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৮০ শতাংশ। খাদ্য উপখাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৮ দশমিক ১৯ শতাংশ এবং খাদ্য বহির্ভূত খাতের মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ।

অন্যদিকে শহরে মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এর মধ্যে খাদ্য উপখাতের মূল্যস্ফীতি ছিল ৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং খাদ্যবহির্ভূত উপখাতে ছিল ৯ দশমিক ৬১ শতাংশ।