ব্যাংকে টাকা না থাকার গুজব ছড়ানো হচ্ছে উল্লেখ করে তাতে কান না দিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার যশোর স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ নিয়েও কোনো সংকট নেই উল্লেখ করে সবাইকে আবারও আশ্বস্ত করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, “আমি দেখি, কেউ কেউ রিজার্ভ নিয়ে কথা বলে। রিজার্ভের কোনো সমস্যা নাই। অনেকে বলে ব্যাংকে টাকা নাই। কেউ কেউ ব্যাংক থেকে টাকা তোলে…।
“ব্যাংকের টাকা তুলে ঘরে রাখলে তো চোরে নিয়ে যাবে। চোরের জন্য সুযোগ করে দেওয়া। কিন্তু ব্যাংকে টাকা, নেই এই কথাটা মিথ্যা।”
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “গতকালকেও (বুধবার) আমি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ ওদের সাথে মিটিং করেছি। আমাদের এই বিষয়ে কোনো সমস্যা নাই। প্রত্যেকটা ব্যাংকে যথেষ্ট টাকা আছে।”
গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বানের পর এর জন্য বিএনপিকে দায়ী করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, “ওরা তো নিজেরা কিছু করতে পারে না। ক্ষমতায় যখনই এসেছে, লুটপাট করে খেয়েছে। ১৯৯৬ সালে আমি যখন সরকার গঠন করি, তখন ছিল বিএনপি ক্ষমতায়। রিজার্ভ কত রেখে গিয়েছিল? দুই দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। আর ২০০৯- এ যখন সরকার গঠন করলাম দ্বিতীয় দফায়, তখন ৫ বিলিয়ন ছিল।”
করোনাভাইরাস মহামারীর সময় রিজার্ভ বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, “তখন আমাদের আমদানি-রপ্তানি ছিল না। সেজন্য আমাদের রিজার্ভ বেড়েছিল প্রায় ৪৮ বিলিয়ন ডলারে।”
করোনাভাইরাস মহামারীর সময় টিকা, সার, চাল, গম ও ভুট্টাসহ প্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিস কেনার কথা তুলে ধরে সরকার প্রধান বলেন, “আমরা জনগণের জন্য দুই হাতে খরচ করেছি। এটা (রিজার্ভ) অন্য কোথাও যায়নি। জনগণের কল্যাণে ব্যয় হয়েছে।”
বাংলাদেশের অর্থনীতি এখনও শক্তিশালী দাবি করে তিনি বলেন, রেমিটেন্স আসছে, বিদেশ থেকে বিনিয়োগ আসছে। রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পেয়েছে।
“আমাদের ট্যাক্স কালেকশন বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্বের অন্য দেশ যেখানে হিমশিম খাচ্ছে, নিজেরা অর্থনৈতিক মন্দায় ভুগছে। বাংলাদেশ এখনও যথেষ্ট শক্তিশালী আছে। বাংলাদেশে আমরা অর্থনীতিকে এখনও শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছি।”