বাজেট সহায়তার অংশ হিসেবে বাংলাদেশকে ৫০৭ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক; যা বুধবার যোগ হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে।
একে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়ন আবার ৩০ বিলিয়ন ডলারের উপরে উঠেছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিশ্ব ব্যাংকের দেওয়া ৫০৭ মিলিয়ন ডলার বাংলাদেশ পেয়েছে। ডলার বিক্রি ও কিছু দায় পরিশোধের পর বুধবার দিন শেষে বাংলাদেশের রিজার্ভ স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৩০ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলার।”
অর্থনীতিতের অগ্রগতির মধ্যে বাংলাদেশের রিজার্ভ বাড়তে বাড়তে ২০২১ সালে ৪৮ বিলিয়ন ডলারও ছাড়িয়েছিল।
তবে কোভিড মহামারী এবং ইউক্রেইন যুদ্ধের প্রভাবে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে গত বৃহস্পতিবার আকুর দেনা পরিশোধের পর রিজার্ভ ২৯ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারে নেমে গিয়েছিল।
এতে ৭ বছর আগের অবস্থানে চলে গিয়েছিল রিজার্ভ। ২০১৬ সালে রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ড ডলারের ঘরে ছিল।
মঙ্গলবার রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২৯ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার। তার সঙ্গে বিশ্ব ব্যাংকের দেওয়া ৫০ কোটি ৭০ লাখ ডলার ও অন্যান্য কিছু যোগ হওয়ায় রিজার্ভের পরিমাণ বুধবার সকালে উঠেছিল ৩০ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার।
তবে বুধবার রিজার্ভ থেকে ৫৯ মিলিয়ন ডলার বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছে বিক্রি করা হয়। ১০৪ টাকা ৫০ টাকা দরে তা বিক্রি হয়েছে বলে জানান মেজবাউল হক।
ডলার বিক্রি আরও কিছু দায় শেষে বুধবার দিন শেষে বাংলাদেশের রিজার্ভের স্থিতি দাঁড়ায় ৩০ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলার।
এটি বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ‘গ্রস’ হিসাব। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দেখানো বিপিএম৬ পদ্ধতিতে রিজার্ভের প্রকৃত বা নিট হিসাব আগামী জুলাই থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশ করার ঘোষণা দিয়েছে।