ফল বাতিলের দাবি চট্টগ্রামের গিয়াসের

স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া এই আওয়ামী লীগ নেতার অভিযোগ, “নৌকার প্রার্থী ভোটের সময় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।কেন্দ্র দখল করে সিল মেরেছে।”

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Jan 2024, 03:42 PM
Updated : 8 Jan 2024, 03:42 PM

চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনের নির্বাচনে পরাজিত ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন ভোটের ফল বাতিলের আহ্বান জানিয়েছেন।

তার মার্কায় ভোট দেওয়া অপরাধ কি না, সেই প্রশ্ন তুলে এলাকায় কর্মীদের নিরাপত্তা চেয়েছেন আওয়ামী লীগের এ সাবেক নেতা।

সোমবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে গিয়াস উদ্দিন বলেন, রোববারের ভোটে মিরসরাইয়ের জনগণের ‘চিন্তার প্রতিফলন ঘটেনি’।

এবারের সংসদ নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন না পেয়ে ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করেন গিয়াস উদ্দিন।নৌকার প্রার্থী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের ছেলে মাহবুব উর রহমান রুহেলের কাছে তিনি পরাজিত হন।

আওয়ামী লীগের টিকিটে গিয়াস মিরসরাইয়ের উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফের সাথে বিরোধের কারণে গিয়াস মিরসরাই ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে একঘরে হয়ে পড়েন।   

সংবাদ সম্মেলনে গিয়াস বলেন, “নৌকার প্রার্থী ভোটের সময় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।কেন্দ্র দখল করে সিল মেরেছে। আমার এজেন্টদের কিডন্যাপ করে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে মারধর করে।”

৬০ থেকে ৭০টি কেন্দ্রে ঈগলের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে অভিযোগ করে গিয়াস উদ্দিন বলেন, “অনেক কেন্দ্রে এজেন্ট ঢুকতেই দেওয়া হয়নি। জোর করে ভোট নিয়ে ফেলেছে নৌকার প্রার্থীর লোকজন।এমনকি ভোটের পরেও বিভিন্ন এলাকায় আমার কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মারধর করা হচ্ছে।”

বিভিন্ন এলাকায় কর্মীদের ওপর হামলার বিবরণ তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমার কর্মীরা সকলেই আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ করা নিবেদিত কর্মী।তারা ঈগলকে ভোট দিয়ে বা কাজ করে কি অপরাধ করেছে! তারা কি আওয়ামী লীগ বা ছাত্রলীগ নয়! তারা কি দেশের নাগরিক নয়?”

নির্বাচন পরবর্তী ‘ভাংচুর, মারধর’ বন্ধ করার ব্যবস্থা নিতে মিরসরাইয়ের দুই ওসি এবং প্রশাসনের কর্তাদের প্রতি আহবান জানান গিয়াস উদ্দিন।

এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী গিয়াস বলেন, “মিরসরাইয়ে প্রহসনের নির্বাচন হলেও দেশের বিভিন্ন আসনের নির্বাচনে সরকার ও নির্বাচন কমিশন আন্তরিক ছিল। না হলে অন্য স্থানে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হয়ে এসেছে কীভাবে।”

নৌকার প্রার্থী মাহবুব রহমান রুহেল নির্বাচনে ‘সুবিধা’ নিয়েছেন দাবি করে তিনি বলেন, “উনার বাবা হেভিওয়েট নেতা। ৫৩ বছর ধরে ক্ষমতার সাথে আছেন, দুইবারের মন্ত্রী, সবমিলিয়ে তিনি সুবিধা নিয়েছেন। এটি প্রধানমন্ত্রী বা নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত নয়।”

যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা নিয়াজ মোরশেদ এলিট, আওয়ামী লীগনেতা নুরুল আলমসহ অন্যরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।