“আমি মনে করি পর্যটন খাত চট্টগ্রামকে বিশ্বের একটি আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত করতে পারে,” বলেন ফিলিপিন্সের রাষ্ট্রদূত।
Published : 11 Feb 2024, 04:52 PM
পাহাড়, সমুদ্র আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর চট্টগ্রামের রূপে মুগ্ধ বাংলাদেশে ফিলিপিন্সের রাষ্ট্রদূত লিও টিটো এল অসান জুনিয়র। আর মুগ্ধদতা থেকে চট্টগ্রাম নিয়ে কবিতাও লিখেছেন। সেটি আবার চট্টগ্রামের মেয়রকে পড়েও শুনয়েছেন।
রোববার টাইগারপাসের অস্থায়ী নগর ভবনে সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এসে কবিতাটি শোনান রাষ্ট্রদূত।
‘অড টু চিটাগং’ (Ode to Chittagong) শিরোনামের কবিতাটি শুনে রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান মেয়র রেজাউল৷
এসময় দুই দেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের রূপরেখার নানা দিক নিয়ে কথা বলেন তারা।
মেয়র রেজাউল বলেন, বাংলাদেশ এবং ফিলিপিন্সের মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্ককে কাজে লাগালে দুটি দেশই আর্থিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে লাভবান হতে পারে।
“ব্যাপক বিনিয়োগের ফলে চট্টগ্রাম বৈদেশিক বিনিয়োগের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। ফিলিপিন্স এই সোনালী সুযোগকে কাজে লাগাতে চট্টগ্রামে বিনিয়োগ করলে বেশ লাভবান হবে।”
এসময় ফিলিপিন্সের রাষ্ট্রদূত লিও টিটো বলেন, “চট্টগ্রামের সৌন্দর্যে আমি এতটা মুগ্ধ যে চট্টগ্রাম নিয়ে কবিতা লিখেছি। রিকশা, রিকশার পেইন্টিং এবং সজ্জা বেশ চমৎকার লেগেছে আমার। পাহাড়, নদী, গাছ আর রঙিন ফুলে ভরা চট্টগ্রামের উচিৎ পর্যটন খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করা।
“আমি মনে করি পর্যটন খাত চট্টগ্রামকে বিশ্বের একটি আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত করতে পারে। বিশেষ করে যেহেতু চট্টগ্রামে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা নিয়মিত আসে সেহেতু ব্যবসায়িক কাজের অবসরে তারা বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ঘুরে বেড়াতে পারবে। ফলে চট্টগ্রাম কেবল বাণিজ্যিক নগরীই নয় বরং অবসর বিনোদনের নগরীতেও পরিণত হবে।”
জবাবে মেয়র রেজাউল চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন প্রস্তাবিত ওশান এমিউজমেন্ট পার্কসহ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে সিটি করপোরেশনের সাফল্য তুলে ধরে পর্যটন খাতের বিকাশেও কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ সময় সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব খালেদ মাহমুদ, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, বাংলাদেশে ফিলিপিন্স দূতাবাসের থার্ড সেক্রেটারি ও ভাইস কনসাল মারিয়া তানিয়া বি গোরানো, কমিউনিকেশন অফিসার ও অ্যাটাশে ওয়েম্পার জন এল পাসোক, চট্টগ্রামে ফিলিফিন্সের অনারারি কনসাল জেনারেল আবদুল আউয়াল, ফিলিপিন্স কনস্যুলেট চট্টগ্রামের চিফ অব স্টাফ শেখ হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন৷