“আমার এলাকায় যত উন্নয়ন, বাংলাদেশের আর কোনো সংসদীয় আসনে এত উন্নয়ন হয়নি,” বলেন তিনি।
Published : 30 Nov 2023, 09:02 PM
হাজারো নেতাকর্মীকে নিয়ে মনোনয়ন জমা দিয়ে চট্টগ্রাম-১১ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী এম এ লতিফ বলেছেন, তাকে হারাতে পারে এমন কোনো শক্তি নেই।
বৃহস্পতিবার বিকালে চট্টগ্রাম আদালত ভবন এলাকায় মনোনয়ন ফরম জমা দিতে আসেন (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনের এ সংসদ সদস্য।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে লতিফের প্রায় হাজার খানেক অনুসারী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় প্রাঙ্গণে হাজির হয়।
তাদের মধ্যে ‘স্বাধীনতা নারী শক্তি’ নামে এম এ লতিফ প্রতিষ্ঠিত সংগঠনের নারী নেতাকর্মীদের সংখ্যাই ছিল বেশি। তাদের সবার পরনে ছিল একই রঙের শাড়ি, কামিজ ও বোরকা।
বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় ভবনের দ্বিতীয় তলায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কক্ষে এম এ লতিফ ও তার ছেলে ওমর হাজ্জাজ মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে সামনের করিডরে নেতাকর্মীরা ভিড় করেন।
হ্যান্ড মাইকে বারবার ঘোষণা দিয়েও তাদের সরানো যাচ্ছিল না। পরে এম এ লতিফ নিজে কক্ষ থেকে বেরিয়ে তাদের সরিয়ে দেয়।
মনোনয়নপত্র জমা শেষে এম এ লতিফ উপস্থিত নেতাকর্মীদের ভিড় ঠেলে আদালত ভবন চত্বরের শহীদ মিনারের পাদদেশে দাঁড়ান।
তখন সাংবাদিকরা জানতে চান শোডাউন করে মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ায় আচরণবিধি ভঙ্গ হয়েছে কি না।
জবাবে এম এ লতিফ বলেন, “আমার কোনো শোডাউন নেই। উনারা সবাই সাধারণ মানুষ। আমার গাড়িতে কোনো ভেঁপু নেই। গত ১৫ বছরে আমার এলাকায় আমার নিজের একটিও ছবি নেই। আপনি কি আমাকে মিছিল করতে দেখেছেন?
“আমি কখনো আইন ভঙ্গ করি না। কোনো পুলিশ বা গানম্যানও আমার কখনো ছিল না। সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবে আমি নিজের সামর্থ্যের সবটুকু দিয়েছি। তাই মানুষ দেখতে এসেছে। আমি কখনো কাউকে আনিনি।”
বন্দর-পতেঙ্গা আসনে স্থানীয় ৩৯ নম্বর দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তাকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও নগর কমিটির একাংশ সমর্থন জানিয়েছে।
চট্টগ্রাম-১১: লতিফের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রস্তুতিতে আওয়ামী লীগের একাংশ
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে লতিফ বলেন, “আমাকে প্রাণপ্রিয় নেত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা মনোনয়ন দিয়েছেন। নৌকাকে প্রতিহত করার শক্তি বাংলাদেশে নেই। বিজয় হবে রাজনীতির ফসল। আমি মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করি। মানুষের পাশে থাকলে ফল হয়।”
জিয়াউল হক সুমনের ভাষ্য, গত ১৫ বছর এলাকায় কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন করেননি বর্তমান সংসদ সদস্য।
তার জবাবে লতিফ বলেন, “আমার এলাকায় যত উন্নয়ন, বাংলাদেশের আর কোনো সংসদীয় আসনে এত উন্নয়ন হয়নি। হাসপাতালের কাজ শেষ, প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের অপেক্ষায়।
“দুটি সরকারি বিদ্যালয় হবে শুধু আমাদের আসনেই। টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেরিন ড্রাইভসহ সব আমাদের এলাকায়।”
স্থানীয় ও নগর আওয়ামী লীগের একাংশের বিরোধিতার মুখে জয় পাওয়া সম্ভব হবে কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে লতিফ বলেন, “নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত। আমি নৌকার প্রার্থী। দেশের অন্য সব দল আসলেও চট্টগ্রাম-১১ আসনে লতিফকে কেউ পরাজিত করতে পারবে না; এমন কোনো শক্তি নেই।”
এরপর লতিফ তার অনুসারীদের নিয়ে মিছিল করতে করতে আদালত ভবন এলাকা ছেড়ে যান।