"একাত্তরের পরাজিত শক্তি ভেবেছিল হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালিকে হত্যার মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতাকে কেড়ে নেবে, বাংলার বুকে ওরা ফেরাবে পাকিস্তানের প্রেতাত্মাকে।”
Published : 15 Aug 2023, 03:05 PM
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিরা ‘ব্যর্থ হয়েছে' বলে মনে করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী।
মঙ্গলবার জাতীয় শোক দিবসে নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউটে সিটি করপোরেশন আয়োজিত শোক দিবসের আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মেয়র বলেন, "বাংলাদেশের স্বাধীনতা কেড়ে নিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করলেও যড়যন্ত্রকারীদের পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে।
"একাত্তরের পরাজিত শক্তি ভেবেছিল হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালিকে হত্যার মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতাকে কেড়ে নেবে, বাংলার বুকে ওরা ফেরাবে পাকিস্তানের প্রেতাত্মাকে।
"তবে, ওরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করতে পেরেছে কিন্তু জাতি ঠিকই বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর যোগ্য নেতৃত্বে এককালের বটমলেস বাস্কেট আজ উন্নয়নের রোল মডেল।"
বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের চার বছর যেতে না যেতেই ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট রাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে এক দল সেনা সদস্য। এর পর আসে সেনা শাসন।
২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় ফিরে আওয়ামী লীগ এই দিনটিকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করা শুরু করে। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় এসে দিবসটি বাতিল করে। তবে ২০০৭ সালে সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে আবার দিবসটি পালন শুরু হয়।
২০০৯ সালের জানুয়ারিতে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে আরও বড় পরিসরে নানা আনুষ্ঠানিকতায় জাতির পিতাকে স্মরণ করা হচ্ছে।
মেয়র রেজাউল বলেন, "জাতির পিতার লড়াই ছিল দেশ স্বাধীন করার লড়াই৷ বঙ্গবন্ধুর লড়াই ছিল ক্ষুধামুক্ত-দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের লড়াই।"
এর আগে সকালে নগরীর টাইগারপাসে অস্থায়ী নগর ভবন প্রাঙ্গনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর কনফারেন্স রুমে খতমে কোরআন ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। পরে হয় আলোচনা সভা।
এই আয়োজনে প্রথমবারের মত নগরীর ৪১ টি ওয়ার্ডের ২০ জন করে মোট ৮২০জন শিক্ষার্থীকে নগর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়।
সিটি করপোরেশন পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কারও তুলে দেন মেয়র।
এর আগে শোক দিবসে নগরীর সদরঘাটের সিটি করপোরেশনের মেমন মাতৃসদন হাসপাতালে দিনব্যাপী বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন মেয়র।
সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, ওয়ার্ড কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন, হাসান মুরাদ বিপ্লব, আবদুল মান্নান, আবদুস সালাম মাসুম,ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, জহর লাল হাজারী ও রুমকি সেনগুপ্ত, সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজন, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মুনিরুল হুদাও আলোচনায় বক্তব্য রাখেন।