তদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত বিভাগের সব একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে ওই শিক্ষককে।
Published : 01 Feb 2024, 10:57 PM
শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ ওঠা সেই শিক্ষকের বিচার দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে প্ল্যাকার্ড হাতে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। পরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ওই ঘটনার বিচার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
এদিকে এ বিষয়ে তদন্তের প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত রসায়ন বিভাগের ওই শিক্ষক অধ্যাপক মাহবুবুল মতিনকে বিভাগের সব একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক দেবাশিষ পালিত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা আজ বিভাগের সকল শিক্ষক মিলে এই বিষয় নিয়ে আলোচনায় বসেছি। যতদিন পর্যন্ত তদন্তের কাজ শেষ না হয়, ততদিন অভিযুক্ত শিক্ষককে সকল একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। উপাচার্য এই বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়িন সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক জরিন আখতার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা আজকে দুই পক্ষেরই সাক্ষাৎকার নিয়েছি। তদন্ত চলছে।”
আগের দিন বুধবার রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর থিসিস সুপারভাইজার মাহবুবুল মতিনের বিরুদ্ধে উপাচার্য বরাবর অভিযোগপত্র জমা দেয় ভুক্তভোগী ছাত্রী।
অভিযোগে বলা হয়, ল্যাবে একা কাজ করার সময় এবং ক্যামিকেল দেওয়ার বাহানা করে নিজ রুমে ডেকে নিয়ে ভুক্তভোগীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন ওই শিক্ষক।
তবে অধ্যাপক মাহবুবুল মতিন ছাত্রীকে যৌন হয়রানির বিষয়টি অস্বীকার করে বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এটা অসম্ভব, আমি দুঃখিত এরকম একটা কথা শুনতে হচ্ছে। মামলা তো অসত্যও হয়, হয়রানি করার জন্য। আর সে আমাকে হয়রানিও কেন করতে চাইবে? আমি সবাইকে একটু বকাবকি করি শেখার জন্য।”
বৃহস্পতিবার আন্দোলনরত রসায়ন বিভাগের এক ছাত্রী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “উনি (ওই শিক্ষক) এর আগেও অনেক শিক্ষার্থীর সাথে এরকম করেছেন। বিভাগের সবাই বিষয়টা জানে। যেহেতু উনি একজন প্রফেসর তাই মেয়েরা ভয় পেয়ে কখনও কোনো অফিসিয়াল কমপ্লেইন করেনি।
“এবার যেহেতু একজন সাহস দেখিয়ে অভিযোগটা করেছে আমরা বিভাগের সকল শিক্ষার্থী তার পাশে আছি। আমরা চাই এই শিক্ষককে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হোক এবং প্রশাসনকে বাদী হয়ে এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে।”