একজন ভোটারের অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
Published : 05 Dec 2023, 11:10 PM
চট্টগ্রাম-১১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এম এ লতিফের পক্ষে এক মতবিনিময় সভায় মেয়র রেজাউল করিমের অংশ নেওয়ার বিষয়ে একজন ভোটারের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাদের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি।
আগামী ৭ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় সশরীরে হাজির হয়ে অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে লিখিত ব্যাখ্যা জমা দিতে সময় ঠিক করে দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনের নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির প্রধান ও চট্টগ্রামের তৃতীয় যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ বেগম আঞ্জুমান আরা সোমবার মেয়র ও সংসদ সদস্য এ বিষয়ে আলাদা চিঠি দেন৷ যদিও বিষয়টি মঙ্গলবার জানা যায়।
তৃতীয় যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফারুক মঙ্গলবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মেয়র মহোদয় চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্যের পক্ষে একটি মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়েছেন জানিয়ে এতে আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে মর্মে এক ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
“সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে কি না তা জানতে মেয়র ও সংসদ সদস্যকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। উনারা সশরীরে হাজির হয়ে অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে লিখিতভাবেও ব্যাখ্যা দিতে পারবেন। এজন্য ৭ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।"
চট্টগ্রাম–১১ আসনের ভোটার সৈয়দ আনোয়ারুল করিম এই আসনের নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির প্রধানের কাছে মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী ও সংসদ সদস্য প্রার্থী এম এ লতিফের আচরণবিধি ভঙ্গের বিষয়ে একটি অভিযোগ দেন।
ওই লিখিত অভিযোগে বলা হয়, “সিটি করপোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী গত ১ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম–১১ আসনের অধীন মুন্সিপাড়া উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উন্মুক্ত স্থানে এম এ লতিফের পক্ষে ভোট চান এবং নির্বাচনী প্রচারণা চালান।"
চট্টগ্রাম-১১ আসনে তিনবারের সংসদ সদস্য ও চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি এম এ লতিফ এবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। ওই আসনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।
দলীয় মনোনয়ন ঘোষণার একদিন পরই সুমনের সমর্থনে স্থানীয় ১০টি ওয়ার্ডের দলীয় নেতাদের এক মতবিনিময় সভায় অংশ নেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনসহ নগর কমিটির কয়েকজন নেতা।
এরপর নগরীর রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের একাংশের লতিফ বিরোধিতার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। বন্দর-পতেঙ্গা আসনের বিভিন্ন ইউনিট, ওয়ার্ড ও থানা কমিটির নেতাদের স্বাক্ষরে নগর আওয়ামী লীগকে একটি চিঠি দিয়ে ওই আসনে প্রার্থী বদল বা সুমনকে স্বতন্ত্র প্রার্থী করার দাবি জানানো হয়। সেই চিঠি দলের হাইকমান্ডের কাছে পাঠানো হবে বলেও জানান সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির।
এরপর ১ ডিসেম্বর ওই এলাকায় সংসদ সদস্য এম এ লতিফের পক্ষে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়, যাতে মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম রেজাউল করিম অংশ নেন বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।