শিশু মেলা আয়োজিত এই উৎসবে বক্তারা আশা করেন, একদিন জাতীয় পর্যায়েও এমন উৎসবের আয়োজন করা হবে।
Published : 17 Nov 2023, 09:11 PM
ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র প্রভাবে দিনভর বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার মধ্যে চট্টগ্রামে গান, নাচ আর বাদ্যযন্ত্রের সুর তাল লয়ে অনুষ্ঠিত হলো নবান্ন উৎসব ১৪৩০।
শুক্রবার বিকেলে নগরীর এনায়েত বাজার মহিলা কলেজ প্রাঙ্গনে এই উৎসবের আয়োজন করে শিশু মেলা নামে একটি সংগঠন।
'বাংলা ও বাঙালি কৃষ্টি এবং ঐতিহ্য রক্ষায়' স্লোগানকে সামনে রেখে এ নিয়ে অষ্টমবারের মতো আয়োজিত এই উৎসবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা জড়ো হন সংস্কৃতিপ্রেমীরা।
শিবু জলদাস ও তাঁর ঢোল বাদনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় আয়োজন। পরে প্রীতম ভট্টাচার্যের গানের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় সাংস্কৃতিক পর্ব।
অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী সনজিত আচার্য্য, গীতা আচার্য্য, শিমুল শীল, এস এম মানিক, ইকবাল পিন্টু, স্বর্ণালী আক্তার, অঙ্কিতা আচার্য্য, প্রীতি দাশ, প্রদীপ মজুমদার, বিজয় নাথ এবং দীপশিখা খেলাঘর আসরের শিল্পীরা।
নাচ পরিবেশন করেন সুরাঙ্গন ডান্স অ্যাকাডেমি, নৃত্য রং অ্যাকাডেমি, নৃত্য নিকেতন চট্টগ্রাম ও নৃত্য নাট্য শাশ্রমের শিল্পীরা।
উৎসবের উদ্বোধনী পর্বে চট্টগ্রামের দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক বলেন, “শিশুমেলা নিয়মিত শিশু-কিশোরদের নিয়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক আয়োজন করে, যা বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশের জন্য প্রয়োজন। তাদের এমন আয়োজন অব্যাহত থাকুক।"
উদযাপন পরিষদের সভাপতি চিকিৎসক একিউএম সিরাজুল ইসলাম বলেন, "নবান্ন সব ধর্ম বর্ণের মানুষের উৎসব। হয়ত কোনোদিন জাতীয়ভাবে পালিত হবে এটি।’
সাংস্কৃতিক আয়োজনের জন্য ডিসি হিল উন্মুক্ত করে দেওয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, “শিশুরা আজ অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে খেলার সুযোগের অভাবে। আমরা অনেকভাবে বঞ্চিত। এসব বঞ্চনার অবসান চাই। "
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দ সৈনিক শিল্পী জয়ন্তী লালা, উৎসব উদযাপন পরিষদের কো চেয়ারম্যান শরীফ চৌহান ও
২১ নম্বর জামালখান ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, শিশুমেলার পরিচালক রুবেল দাশ প্রিন্সও এ সময় বক্তব্য রাখেন।
আবৃত্তি শিল্পী আয়েশা হক শিমুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উৎসব উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব প্রণব বল ও সমন্বয়ক শফীক আহমেদ সাজীব।