চট্টগ্রামের মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যার ঘটনায় আসামির আবেদনে মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়ে গেছে।
সোমবার চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিন আগামী ১৩ মার্চ অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন রেখেছেন।
আসামি বাবুল আক্তারের পক্ষে সময়ের আবেদন করা হলে আদালত তা মঞ্জুর করে বলে জানান পিপি মো. আবদুর রশিদ।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আসামি পক্ষ সময়ের আবেদন করার অভিযোগ গঠনের শুনানি হয়নি। পরবর্তী ধার্য দিনে হবে।”
এর আগে চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ জেুবন নেছা ৩১ জানুয়ারি মামলাটি বিচারের জন্য আদালতে পাঠান।ওই দিন ২০ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির দিন রাখা হয়েছিল।
এ বিষয়ে বাবুল আক্তারের আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা এই মামলার অভিযোগ থেকে বাবুল আক্তারের ডিসচার্জ (অব্যাহতি) চেয়ে আবেদন করব। সেজন্য সময় প্রার্থনা করেছি। আদালত আবেদন গ্রহণ করে সময় দিয়েছেন।”
মামালার আসামিদের মধ্যে জামিনে থাকা এহতেশামুল হক ভোলা আদালতে এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হলে গত ১১ জানুয়ারি অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবদুল হালিম নথিপত্র মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠান।
এরও আগে গত ৩০ নভেম্বর মিতু হত্যা মামলার পলাতক দুই আসামি কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুছা ও খায়রুল ইসলাম ওরফে কালুর বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবদুল হালিম।
পত্রিকায় ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, আদালতে হাজির না হলে তাদের অনুপস্থিতিতে মামলার বিচার কাজ শুরু হবে।
স্ত্রী মিতু হত্যা মামলায় তার স্বামী সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারসহ সাতজনকে আসামি করে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ১৩ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। পরে ১০ অক্টোবর চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত তা গ্রহণ করে।
মামলার আসামিরা হলেন- সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তার, মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, এহতেশামুল হক ভোলা, শাহজাহান মিয়া, কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুছা ও খায়রুল ইসলাম ওরফে কালু। এদের মধ্যে মুছা ও কালু পলাতক।
পুরনো খবর