মিতু হত্যা: বিচারের জন্য আদালত নির্ধারণ

এই মামলায় মিতুর স্বামীর বাবুল গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 Jan 2023, 03:12 PM
Updated : 31 Jan 2023, 03:12 PM

মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলায় বিচারিক আদালত নির্ধারণ করা হয়েছে, সেখানে অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানি হবে।

মঙ্গলবার চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক জেুবন নেছা মামলাটি বিচারের জন্য তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তরের আদেশ দেন।

তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির দিন ২০ ফেব্রুয়ারি ধার্য হয়েছে বলে মহানগর পিপি মো. আব্দুর রশিদ জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, “চার্জ শুনানিতে আসামিদের হাজির করতে হাজিরা পরোয়ানা জারির আবেদন করেছি। আদালত তা মঞ্জুর করেছেন। অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির দিন আসামিদের হাজির করা হবে।”

এরআগে গত ১১ জানুয়ারি মামলাটি বিচার শুরুর জন্য প্রস্তুত হলে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবদুল হালিম নথিপত্র মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠিয়েছিলেন।

তার আগে গত ৩০ নভেম্বর মিতু হত্যা মামলার পলাতক দুই আসামি কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুছা ও খায়রুল ইসলাম ওরফে কালুর বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবদুল হালিমের আদালত।

পত্রিকায় এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে জানানো হয়, তারা আদালতে হাজির না হলে তাদের অনুপস্থিতিতে মামলার বিচার কাজ শুরু হবে।

মঙ্গলবার মামলার আসামিদের মধ্যে এহতেশামুল হক ভোলা জামিনের আবেদন করেন।

পিপি আব্দুর রশিদ বলেন, “আসামি ভোলা উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছে। সেই নথিপত্র উপস্থাপন করে জামিন চাইলে আদালত তাকে জামিনের আদেশ দিয়েছেন।”

গত ১০ অক্টোবর স্ত্রী মিতু হত্যা মামলায় স্বামী সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারসহ ৭ জনকে আসামি করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত। তার আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছিল পিবিআই।

মামলার আসামিরা হলেন- সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তার, মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, এহতেশামুল হক ভোলা, শাহজাহান মিয়া, কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুছা ও খায়রুল ইসলাম ওরফে কালু। এদের মধ্যে মুছা ও কালু পলাতক।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় মিতুকে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। বাবুল তখন হত্যামামলা করলেও পরে পিবিআইর তদন্তে খুনে তারই সম্পৃক্ততা বেরিয়ে আসে।

এদিকে ঘটনার কিছুদিন পর সংবাদ সম্মেলন করে মুছার স্ত্রী পান্না আক্তার দাবি করেন, মিতু হত্যার সপ্তাহখানেক পর তার স্বামীকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর থেকে মুছার আর কোনো হদিস মেলেনি।

Also Read: মিতু হত্যা: বাদী বাবুল আক্তার যেভাবে আসামি

Also Read: নিজের মামলাতেই গ্রেপ্তার বাবুল আক্তার

Also Read: বিচারের জন্য প্রস্তুত মিতু হত্যা মামলা