গ্রেপ্তারদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
Published : 29 Mar 2024, 05:01 PM
নাটোরে নবম শ্রেণির ছাত্র ফারহান জাহি হিমেলকে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য অপহরণ করা হয়েছিল; কিন্তু অবস্থা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় তাকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার দুপুরে নাটোর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এটিএম মাইনুল এ কথা জানান।
বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে নলডাঙ্গা উপজেলার পিপরুল ইউনিয়ন পরিষদের পরিত্যক্ত ভবন থেকে ১৫ বছর বয়সী ফারহান জাহি হিমেলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
সে নলডাঙ্গার পিপরুল এলাকার টিসিবির ডিলার ওমর ফারুকের ছেলে ও স্থানীয় পাটুল-হাপানিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল। এ ঘটনায় এক কিশোরসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন-নলডাঙ্গার হাঁপানিয়া এলাকার রবিউল ইসলামের ছেলে শরিফুল ইসলাম সুজন (১৮), পিপরুল এলাকার প্রদীপ সাহার ছেলে সজল সাহা (১৮), সড়কুতিয়া এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে শিমুল (১৮)।
আরেকজনের বাড়ি পাটুল পূর্বপাড়া এলাকায়। তার বয়স ১৭ বছর বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, “ফারহান জাহি হিমেল বৃহস্পতিবার বিকালে সাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর রাত ৮টা বাজলেও সে বাড়িতে না ফেরায় তার বাবা রাতেই নলডাঙ্গা থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেন।
“পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে সুজনকে রাত ১১টার দিকে তার বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে; তার কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ধারাল ছুরিও উদ্ধার করা হয়।”
সুজনের দেওয়া তথ্যে রাত ১টার দিকে পিপরুল ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে পরিত্যক্ত ভবন থেকে হিমেলের রক্তমাখা মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর সজল, শিমুল ও এক কিশোরকে আটক করা হয় বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ধারালো ছুরি, দা, রক্তমাখা গামছা, রশি ও পলিথিন, ভিকটিমের ব্যবহৃত একটি বাটন মোবাইল ফোন ও একটি বাইসাইকেল এবং আসামিদের দুটি স্মার্টফোন জব্দের কথাও জানান মাইনুল।
পরে চারজনকে এ ঘটনায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় জানিয়ে তিনি বলেন, “আসামিরা মূলত মুক্তিপণ আদায়ের জন্য হিমেলকে অপহরণ করে রাখতে চেয়েছিল। কিন্তু অবস্থা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে তাকে হত্যা করা হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।”
গ্রেপ্তারদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে এবং এ হত্যাকাণ্ডে অন্য কেউ বা অন্য কোনো বিষয় জড়িত কি-না তা তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।