চট্টগ্রামে শিশু আলিনা ইসলাম আয়াতের হত্যার ঘটনায় আবীর আলী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
শনিবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম জুয়েল দেব এ জবানবন্দি রেকর্ড করেন বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো অঞ্চলের পরিদর্শক মনোজ দে জানান।
দ্বিতীয় দফায় সাতদিনের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছয় দিনের মাথায় আবীর হত্যার ঘটনা স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে রাজি হন।
মনোজ দে জানান, জবানবন্দিতে আবীর হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে এবং বিভিন্ন তথ্য দিয়েছে।
গত ১৪ নভেম্বর পাঁচ বছরের শিশু আয়াত নিখোঁজ হওয়ার পর ইপিজেড থানায় জিডি করে তার পরিবার। পরে পিবিআই তদন্তে নেমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবীরকে আটক করে।
জিজ্ঞাসাবাদে আবীর পিবিআই কর্মকর্তাদের বলেছিলেন, আয়াতের মৃতদেহ ছয় টুকরো করে ছয়টি প্যাকেটে ভরে বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দিয়েছিল সে। এর মধ্যে মাথা ও দুই পা আকমল আলী রোড স্লুইচ গেইটের কাছে নর্দমায় এবং দুই হাত ও বাকি অংশ সাগরে ফেলার কথা বলেছিল সে।
আবীরকে আটক করার পর ২৫ নভেম্বর পিবিআই জানিয়েছিল, ‘মুক্তিপণের’ জন্য শিশু আয়াতকে অপহরণ করে আবীর। কিন্তু কোথাও রাখার জায়গা না পেয়ে তাকে হত্যা করে। তারপর আয়াতের বাবার কাছে টাকা দাবি করার পরিকল্পনা করে সে। সেজন্য একটি মোবাইলও কেনে। আর আগে রাস্তায় কুঁড়িয়ে পাওয়া একটি সিম তার সংগ্রহে ছিল। কিন্তু সেটা সচল না থাকায় ফোন করতে পারেনি।
ওই দিন আবীরকে নিয়ে পিবিআই সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বটি এবং আয়াতের জুতা উদ্ধার করেন। পরে আয়াতের বাবা নগরীর ইপিজেড থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
ওই মামলায় গত ২৬ নভেম্বর প্রথম দফায় দুই দিনের রিমান্ডে পেয়ে আবীরকে সঙ্গে নিয়ে আয়াতের মরদেহের খণ্ডিত অংশের খোঁজে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় পিবিআই। পরে ২৮ নভেম্বর আবীরকে ফের সাত দিনের হেফাজতে নেয় তদন্ত সংস্থা।
এছাড়া ২৮ নভেম্বর রাতে আবীরের বাবা, মা ও বোনকে এ মামলায় গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের হেফাজতে নেওয়া হয়।
ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আয়াতের খণ্ডিত পা ও মাথা উদ্ধার করেছে পিবিআই।