Published : 23 Jan 2024, 08:21 AM
উদ্বোধন করার এক মাসের কিছু বেশি সময় আগে চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত টানেলে পরীক্ষামূলক যান চলাচল শুরু হচ্ছে।
বুধবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া টানেল পরিদর্শনে গেলে প্রকল্প পরিচালক হারুন অর রশিদ বলেন, “আমাদের শতভাগ প্রস্তুতি সম্পন্ন। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত ট্রায়াল রান করব।"
তোফাজ্জল বলেন, “২৮ অক্টোবর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী টানেল উদ্বোধন করবেন, জনসভায় বক্তব্য দেবেন সেদিন। উদ্বোধন সারাদেশে আনন্দ উৎসবের সঙ্গে করতে চাই।"
টানেলটি উদ্বোধনের পরদিন জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য বলেন, "কর্ণফুলীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল সরকারের সিগনেচার প্রজেক্ট। বাংলাদেশের ইঞ্জিনিয়ারদের কর্ম নৈপুন্য ও বিশাল সাফল্য এ স্থাপত্য।
"টানেল শুধু নদীর দুই প্রান্তকে যুক্ত করবে না আল্টিমেটলি এটা এশিয়ান হাইওয়ের সাথে যুক্ত হবে। নদীর তলদেশে ১৮ মিটার থেকে ৩১ মিটার নিচ দিয়ে এ টানেল গেছে। কক্সবাজারের সাথে যোগাযোগও সহজ হবে। প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ টানেলে তিন থেকে সাড়ে তিন মিনিটের মধ্যে পার হবে গাড়ি।"
জলোচ্ছ্বাস ও ভূমিকম্পের মত প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় টানেলে যথেষ্ট প্রস্তুতি আছে জানিয়ে প্রকল্প পরিচালক হারুন অর রশিদ বলেন, "টানেলে ২টি ফ্লাড গেইট আছে। সেগুলো পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। সাম্প্রতিক কয়েকটি প্রাকৃতিক দুর্যোগেও আমরা দেখেছি, কোনো সমস্যা হয়নি।
"ভূমিকম্পের জন্য টানেল সব থেকে নিরাপদ। কারণ মাটির ২০ মিটার নিচে ভূমিকম্পের কম্পন্ন অনুভূত হয় না। এই টানেল গেছে ৩১ মিটার তলদেশ দিয়ে।"
কর্ণফুলীর দুই তীরকে যুক্ত করা এই টানেল নির্মাণে মোট ব্যয় ১০ হাজার ৬৮৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা।
এরমধ্যে বাংলাদেশ সরকার ৪ হাজার ৬১৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা এবং চীন সরকারের অর্থ সহায়তা ৬ হাজার ৭০ কোটি টাকা।
মূল টানেল নির্মাণ কাজের শতভাগ খরচ বহন করছে চীন সরকার।
মূল টানেল ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ। যার মধ্যে টিউবের দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার। টানেলের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে মোট ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার অ্যাপ্রোচ রোড আছে।
নদীর তলদেশ থেকে টানেলের সর্বোচ্চ গভীরতা ৩১ মিটার। টানেলে আছে বিপরীতমুখী দুটি টিউব।
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)