বিজয় মশাল বহন করতে হবে ছাত্রদেরই: রেজাউল

“আমি ছাত্রদের নিয়েই আশা দেখি, ছাত্রদের মাঝে খুঁজে পাই সোনার বাংলা গড়ার শক্তি ও অনুপ্রেরণা,” বলেন তিনি।

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য সামনে থেকে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব দিতে হবে বলে মনে করেন চট্টগ্রামের সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী।

তিনি বলেছেন, “ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর দেশে যে অন্ধকার সময় এসেছিল, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তা আমরা পার হয়ে এসেছি। এখন আমরা যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য লড়ছি তা বাস্তবায়নে শিক্ষার্থীদের সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে, বহন করতে হবে বিজয় মশাল।”

শনিবার সকালে বন্দর নগরীর চট্টগ্রাম কলেজ মাঠে (প্যারেড মাঠ) সিটি করপোরেশন পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

রেজাউল করিম বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে দেশ স্বাধীন করতে শিক্ষার্থীরাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধুর আদেশ-নির্দেশকে দেশের আনাচে-কানাচে নিয়ে গিয়েছিল।

ছাত্রদের মাঝে সোনার বাংলা গড়ার শক্তি খুঁজে পাওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “ভাষার প্রশ্নে পাকিস্তানিদের সাথে লড়াইয়ে নেমেই শিক্ষার্থীরা বুঝে গেল আমাদের স্বাধীনতা চাই। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমার উপলব্ধি, ছাত্রদের মধ্যে আদর্শের জন্য লড়াইয়ের যে সৎ সাহস থাকে তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

“আমি ছাত্রদের নিয়েই আশা দেখি। ছাত্রদের মাঝে খুঁজে পাই সোনার বাংলা গড়ার শক্তি ও অনুপ্রেরণা।”

সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, শিক্ষা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি নেছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, সমাজকল্যাণ স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি আবদুস সালাম মাসুমসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা।

কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র সালাম গ্রহণ করেন শিক্ষার্থীদের। পরে ডিসপ্লে, রচনা ও চিত্রাঙ্কনসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন মেয়রসহ অতিথিরা।

কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের আগে মেয়র চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর টাইগারপাসে নগর ভবন কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান মেয়র।