“এমন ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মর্মাহত।”
Published : 11 Feb 2024, 08:23 AM
শাটল ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীদের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শিরীণ আখতার।
তিনি বলেছেন, “এমন ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মর্মাহত।”
তবে শিক্ষার্থীদের যাতায়াত সমস্যা সমাধানের দাবি, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুপস্থিতি ও ভাংচুরে দায়ীদের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের কোনো জবাব দেননি উপাচার্য।
সংবাদ সম্মেলন শেষে এসব বিষয়ে জানতে উপাচার্যের মোবাইলে ফোন করা হলেও তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। শুক্রবার বিকালে উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে নগরী থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেন চৌধুরীহাট স্টেশনের কাছে পৌঁছালে সেখানে একটি ভেঙে পড়া গাছের সাথে ধাক্কা খায় ট্রেনের ছাদে থাকা শিক্ষার্থীরা। এতে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়।
এ ঘটনায় আহত ৯ জন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহতদের মধ্যে তিনজন আছেন আইসিইউতে, যাদের মধ্যে দুজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
সহপাঠীরা আহত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাত ২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় মূল ফটকে তালা দেওয়া, পুলিশ বক্সের আসবাব ভাঙা, উপাচার্যের বাসভবনে ভাংচুর, পরিবহন পুলে রাখা শিক্ষকদের গাড়ি ভাংচুর ও শিক্ষক ক্লাবে ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য জানান, ভাংচুর এবং বিশৃঙ্খলার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তবে মামলায় আসামি কাদের করা হয়েছে এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।
উপাচার্য শিরীণ আখতার বলেন, “সরকারি সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি যারা করেছে তাদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে ৩টি মামলা করা হয়েছে। রোববার থেকে স্বাভাবিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলবে।”
শিক্ষার্থীদের যাতায়াত সমস্যার সমাধানের বিষয়ে জানতে চাইলে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. খায়রুল ইসলাম বলেন, “শাটল তো চলছেই।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য বেনু কুমার দে, সিন্ডিকেট সদস্য ড. আবুল মনসুর, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক খায়রুল ইসলাম।
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)