অনুপম সেনকে সভাপতি ও শ্রেয়সী রায়কে সাধারণ সম্পাদক করে ২১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
Published : 13 May 2023, 11:14 PM
জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ চট্টগ্রাম শাখার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার সকালে চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘জাগ জাগ রে জাগ সঙ্গীত--চিত্ত অম্বর কর তরঙ্গিত/ নিবিড়নন্দিত প্রেমকম্পিত হৃদয়কুঞ্জ বিতানে’ সম্মেলক গানের মধ্য দিয়ে এ আয়োজনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. অনুপম সেন বলেন, “বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ নামটি গেঁথে রয়েছে। সংগীত দিয়ে বাংলা সাহিত্যের সূচনা। রবীন্দ্রনাথ শৈশবে ক্লাসিকেল সংগীত প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন।
“শিল্পের এমন কোনো শাখা নেই যেখানে তিনি পদচারণা করেননি। তবে সবকিছু ছাপিয়ে গানের মাধ্যমে বাঙালি ও বাংলাকে ছাপিয়ে বিশ্ব জয় করেছেন রবীন্দ্রনাথ। তাই রবীন্দ্র সংগীত শুধু বাঙালির নয়, সারা বিশ্বের।”
বৈরী আবহাওয়ার কারণে সম্মেলনের উদ্বোধক পরিষদের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সরওয়ার আলী উপস্থিত হতে পারেননি। তার পাঠানো লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য্য।
সেই বক্তব্যে বলা হয়, “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একজন বহুমাত্রিক অতুলনীয় প্রতিভা। তিনি একাধারে কবি, গীতিকার, সুরকার, সাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক। শেষজীবনে শিরোনামহীন চিত্রকর্মেও মনোনিবেশ করেছেন।
“সুতরাং রবীন্দ্রনাথকে সামগ্রিকতায় ধারণ করার দীর্ঘ আলোচনা অনুচিত কর্ম বিবেচনা করি। মুক্তিযুদ্ধের ভাবাদর্শের বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিশীলতা ও জীবন দর্শনের মৌলিক বিষয়াদির প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে। রবীন্দ্রনাথ একাডেমিক আলোচনার বিষয় নয়, তিনি হয়ে উঠেন বাঙালি জাতিসত্তা প্রতিষ্ঠার প্রধান অবলম্বন।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় পরিষদের সহসভাপতি শিল্পী বুলবুল ইসলাম, ফুলকির সর্বাধ্যক্ষ শীলা মোমেন, লেখিকা ফেরদৌস আরা আলীম, অধ্যাপক রীতা দত্ত, অধ্যাপক ডা. একিউএম সিরাজুল ইসলাম।
ফারহানা আনন্দময়ীর সঞ্চালনায় সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ চট্টগ্রাম শাখার সদস্য সচিব ও শিল্পী শ্রেয়সী রায়।
সম্মেলনে অনুপম সেনকে সভাপতি ও শ্রেয়সী রায়কে সাধারণ সম্পাদক করে ২১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে সংগীত পরিবেশন করেন জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ রাঙামাটি শাখা। এরপর দুপুরে শুরু হয় প্রতিনিধি সভা।
সন্ধ্যায় শুরু হয় শ্রেয়সী রায়ের গ্রন্থনা, পরিকল্পনা ও সংগীত পরিচালনায় গীতি আলেখ্য ‘রবির আলো’। এতে নৃত্য পরিচালনা করেন ওড়িশি নৃত্য শিল্পী প্রমা অবন্তী। এরপর একক সংগীত পরিবেশন করেন বুলবুল ইসলাম ও শ্রেয়সী রায়।