“পানির জন্য গাড়ি চলতে পারে না। হাঁটুর উপরে পানি। হেঁটে আসছি ১০-১৫ মাইল,” বললেন এক ভুক্তভোগী।
Published : 08 Aug 2023, 04:06 PM
টানা কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে সাতকানিয়ার কেরানিহাট থেকে চন্দনাইশের হাশিমপুর পর্যন্ত সড়ক ডুবে যাওয়ায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
সোমবার রাত থেকে চন্দনাইশ কলেজ গেট এলাকা থেকে কেরানিহাট অংশে সড়কের উপর পানি বাড়তে শুরু করে। রাতেই মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হয়। সোমবার রাত ৩টার পর থেকে যান চলাচল কার্যত বন্ধ হয়ে যায়।
মঙ্গলবার সড়কের সাতকানিয়া কেরানিহাট অংশে গোলচত্বরে পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। চট্টগ্রাম-বান্দরবান সড়কেও এই মোড় দিয়ে যাতায়াত করতে হয়।
দোহাজারী হাইওয়ে পুলিশের ওসি খান মো. ইরফান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “চন্দনাইশ বাগিচারহাট থেকে দেওয়ানহাট জসিম কনভেনশন পর্যন্ত এবং নয়াখালের মুখ থেকে সাতকানিয়া রাস্তার মাথা পর্যন্ত অংশে পানি উঠে গেছে।
“কোথাও হাঁটু পানি। কোথাও আরও কম। সকাল থেকে যানবাহন চলচাল বন্ধ আছে। তবে পানির মধ্যেও কিছু কিছু গাড়ি চলাচল শুরু করেছে এখন।”
চট্টগ্রাম জেলার জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো ছাইফুল্লাহ মজুমদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পানির কারণে চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়ক ও চট্টগ্রাম বান্দরবান সড়কের সাতকানিয়া ও চন্দনাইশ অংশে যানবাহন চলতে পারছে না।”
চন্দনাইশ উপজেলার হাশিমপুর ইউনিয়নের কসাইপাড়া এলাকায় কথা হয় হেঁটে আসা কয়েকজন শ্রমিকের সাথে। তাদের একজন মো. রশিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পানির জন্য গাড়ি চলতে পারে না। হাঁটুর উপরে পানি। হেঁটে আসছি ১০-১৫ মাইল।”
সড়কের এই অংশে দূর পাল্লার বাসসহ বিভিন্ন যানবাহন আটকে থাকতে দেখা গেছে। দুই পাশে কয়েক হাজার যানবাহন আটকা পড়েছে।
এর মধ্যে যাত্রীদের কেউ কেউ গাড়ি থেকে নেমে হেঁটেই গন্তব্যে রওনা দিয়েছেন। চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন বয়স্ক ও শিশুরা।
চট্টগ্রামের দক্ষিণের সাতকানিয়া ও চন্দনাইশ উপজেলার বেশিরভাগ ইউনিয়ন ও গ্রাম ইতোমধ্যে পানিতে তলিয়ে গেছে।
সাতকানিয়া উপজেলার বাজালিয়া, কেওচিয়া, এওচিয়া, নলুয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে আছে।
সাতকানিয়া উপজেলার পরই পার্বত্য বান্দরবান জেলা। টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে বান্দরবান জেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকা সোমবার পানিতে তলিয়ে যায়।