বাসগুলোতে স্মার্ট টেকনোলজি যেমন, জিপিএস ট্র্যাকার, আইপি ক্যামেরা, এআই ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাতায়াতের ক্ষেত্রে বাসে ওঠা-নামার সময় অভিভাবকের ফোনে স্বয়ংক্রিয় এসএমএস প্রদান, বাসে শিক্ষার্থীদের অবস্থান মনিটরিং, স্কুল টাইমিং সমন্বয়ের মাধ্যমে স্বল্প খরচে স্কুল-কলেজে যাত্রা নিশ্চিত করা হবে।
Published : 18 Oct 2023, 07:46 PM
স্মার্ট জেলা উদ্ভাবন চ্যালেঞ্জ-২০২৩ এর আওতায় প্রথম পুরস্কার পেয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ‘স্মার্ট স্কুল বাস’ নামক উদ্ভাবনী উদ্যোগ।
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত শেখ রাসেল দিবসের উদ্বোধনী ও শেখ রাসেল পদক-২০২৩ প্রদান অনুষ্ঠানে এ পুরস্কায় দেয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে পুরস্কারের ৮০ লাখ টাকার চেক গ্রহণ করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
জেলা প্রশাসনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) প্রোগ্রাম পরিচালিত দেশের জেলাসমূহের উদ্ভাবনী কার্যক্রমভিত্তিক প্রতিযোগিতা ‘স্মার্ট জেলা উদ্ভাবন চ্যালেঞ্জ’ এর আওতায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ‘স্মার্ট স্কুল বাস’ নামক উদ্ভাবনী উদ্যোগটি প্রথম পুরষ্কারের জন্য নির্বাচিত হয়।
এতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মোট ৮৯টি উদ্ভাবনি প্রস্তাবনা জমা পড়েছিল। বিচারকরা চট্টগ্রামসহ পাঁচ জেলাকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করেন।
এরমধ্যে ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস ফর ট্যুরিস্ট’ উদ্যোগের জন্য কক্সবাজার জেলা প্রশাসন দ্বিতীয়, অগ্নি নির্বাপণ ও গ্যাস নিঃসরণ রোধ ব্যবস্থাপনা উদ্যোগের জন্য ঢাকা জেলা প্রশাসন তৃতীয়, স্মার্ট খাদ্যশস্য মজুদ ব্যবস্থাপনা উদ্যোগের জন্য ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসন চতুর্থ এবং স্মার্ট ইউনিয়ন, উপজেলা ও পৌরসভা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের জন্য পঞ্চগড় জেলা প্রশাসন পঞ্চম পুরস্কার পায়।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, স্মার্ট স্কুল বাস প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে অসহনীয় যানজট, অভিভাবকদের ভোগান্তি, অধিক যাতায়াত খরচ, জ্বালানি অপচয়, সড়ক দুর্ঘটনা, অনিরাপদ স্কুল যাত্রাসহ অভিভাবকদের কর্মঘণ্টা নষ্ট হওয়ার মতো সমস্যার সমাধান হবে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় ইতোমধ্যে ১০টি সরকারি স্কুলের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ১০টি দোতলা বাস নগরীর বিভিন্ন রুটে চলাচল করছে।
এই বাসগুলোতে স্মার্ট টেকনোলজি যেমন, জিপিএস ট্র্যাকার, আইপি ক্যামেরা, এআই ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাতায়াতের ক্ষেত্রে বাসে ওঠা-নামার সময় অভিভাবকের ফোনে স্বয়ংক্রিয় এসএমএস প্রদান, বাসে শিক্ষার্থীদের অবস্থান মনিটরিং, স্কুল টাইমিং সমন্বয়ের মাধ্যমে স্বল্প খরচে স্কুল-কলেজে যাত্রা নিশ্চিত করা হবে।
ইতোমধ্যে ছাত্র-ছাত্রীদের ডেটাবেইজ প্রস্তুতের পাশাপাশি বাসগুলোতে জিপিএস ট্র্যাকার, অত্যাধুনিক সিসি ক্যামেরা, শিক্ষার্থীদের স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে ক্যাশলেস পেমেন্ট পদ্ধতি সম্বলিত বিভিন্ন ডিভাইস সংযোজন করা হয়েছে।
চাহিদা অনুযায়ী ক্রমান্বয়ে বাসের সংখ্যাও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তারা।
নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব বাস বরাদ্দ দিয়েছিলেন।