সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চুকে ১৫ ফেব্রুয়ারি হাজির হতে সমন জারি করেছে আদালত।
Published : 17 Jan 2024, 12:16 PM
ভোটের আগে ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের অনুদানের চেক বিতরণ করায় চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চুর বিরুদ্ধে বিধি ভঙ্গের অভিযোগে মামলা করেছে নির্বাচন কমিশন।
ডবলমুরিংয়ের থানা নির্বাচন অফিসার ও চট্টগ্রাম-১০ আসনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামের মহানগর হাকিম মো. সালাউদ্দিনের আদালতে এ মামলা করেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী তারিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আদালত মামলাটি গ্রহণ করে বিবাদী মহিউদ্দিন বাচ্চুর বিরুদ্ধে সমন জারি করেছে।১৫ ফেব্রুয়ারি তাকে আদালতে হাজির হতে বলেছে।”
নির্বাচনি আচরণ বিধিমালা ২০০৮ এর ৩ ধারা অনুসারে, কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষ থেকে অন্য কোনো ব্যক্তি নির্বাচন-পূর্ব সময়ে কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা কোনো প্রতিষ্ঠানে প্রকাশ্যে বা গোপনে চাঁদা বা অনুদান দিতে বা দেওয়ার অঙ্গীকার করতে পারবেন না।
কিন্তু মহিউদ্দিন বাচ্চু এলাকার মসজিদে অনুদানের চেক বিতরণ করেছেন বলে ভোটের আগে অভিযোগ করেছিলেন ওই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মনজুর আলম।
তার অভিযোগ ছিল- “নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু ২২ ডিসেম্বর জুমার নামাজের আগে চট্টগ্রাম-১০ আসনের সকল মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনকে এক হাজার টাকা করে এবং মাদানী মসজিদে এক লাখ টাকার অনুদানের চেক প্রদান করেন, যা খুতবার আগে ইমাম সাহেব মুসল্লিদের অবহিত করেন।”
“একইভাবে ২৪ ডিসেম্বর লালখান বাজারে তার নির্বাচনী কার্যালয়ে চট্টগ্রাম-১০ আসনের মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনদের ৬০ হাজার টাকা করে অনুদানের চেক প্রদান করেন।”
অভিযোগ ওঠার পর বিষয়টি তদন্ত করে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি। মামলার এজাহারে বলা হয়- “অনুসন্ধানে ২২ ডিসেম্বর মাদানী মসজিদে মহিউদ্দিন বাচ্চু উপস্থিত থেকে ২০-২৫টি মসজিদের অনুকূলে এক লাখ টাকা করে অনুদানের চেক বিতরণ করেছে বলে জানতে পারে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি।
“২৩ ডিসেম্বর মধ্যম রামপুরায় নতুন বাজার জামে মসজিদে বাচ্চুর পক্ষে দেলোয়ার হোসেন খোকা ৫২ হাজার টাকা করে মসজিদ, মন্দির ও পেগোডার প্রতিনিধিদের অনুদানের চেক বিতরণ করেছে বলেও জানতে পারে।”
বাচ্চু নিজে এবং তার পক্ষে অন্য ব্যক্তি চেক বিতরণ করেছেন, তদন্তে এর আংশিক সত্যতা পাওয়া গেছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে মহিউদ্দিন বাচ্চু মোবাইল ফোন করলে তিনি ধরেননি। তবে এই অভিযোগের বিষয়ে ৭ জানুয়ারির ভোটের আগে তিনি বলেছিলেন, “আমি দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেয়েছি সাড়ে ৩ মাসের কিছু বেশি। সংসদ সদস্য হিসেবে সরকারি অনুদান বিতরণের দায়িত্ব ছিল আমার। সেসব চেক বিতরণ করা হয়েছে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের মাধ্যমে।
“যে প্রতিষ্ঠান অনুদান পেয়েছে তাদের কোনো একজন প্রতিনিধি সই করে সেই চেক নিয়েছেন। সেখানে আমার কোনো ব্যক্তিগত সম্পৃক্ততার বিষয় নেই।”