শনিবার সকালে এই ক্যাম্পেইনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে প্রধান উপদেষ্টার বাড়ির কাছে বাথুয়া কমিউনিটি ক্লিনিক কেন্দ্রে।
Published : 13 Mar 2025, 09:08 PM
এবার জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে চট্টগ্রাম জেলায় মোট ১৩ লাখ ৮৫ হাজার ৭১৬ শিশুকে টিকা খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জেলা সিভিল সার্জন এবং চট্টগ্রামের সিটি মেয়র পৃথক সংবাদ সম্মেলনে ১৫ মার্চ অনুষ্ঠেয় ক্যাম্পেইন বিষয়ে তথ্য তুলে ধরেন।
দুপুরে টাইগারপাসে অস্থায়ী নগর ভবনে সংবাদ সম্মেলনে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে ৫ লাখ ৬০ হাজার শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। এরমধ্যে ৬-১১ মাসের ৯০ হাজার এবং ১২-৫৯ মাসের ৪ লাখ ৭০ হাজার শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
ক্যাম্পেইনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সাতটি ইপিআই জোনের আওতায় ৪১ ওয়ার্ডে ১ হাজার ৩২১টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ ক্যাম্পেইন চলবে।
এর আগে ২০২৪ সালের ১ জুন জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের হার ছিল ৯৯ শতাংশ।
৬-১১ মাসের ৮৮ হাজার ৫৯০ শিশুর লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৮৭ হাজার ৯৫৭ শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছিল সেবার।
অন্যদিকে ১২-৫৯ মাসের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ৭১ হাজার ৯৫০ শিশু। এর বিপরীতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ৯৫৯ শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছিল। অর্জনের হার ছিল ৯৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
মেয়র শাহাদাত বলেন, “কেউ যদি নির্ধারিত দিনে শিশুকে টিকা খাওয়াতে না পারেন তাহলে আমাদের স্থায়ী টিকা কেন্দ্রগুলোতে পরেও টিকা খাওয়াতে পারবেন।”
অন্যদের মধ্যে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ ইমাম হোসেন রানা, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. হোসনে আরা, সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, ডা. তপন কুমার চক্রবর্তী সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরীর আন্দরকিল্লায় সিভিল সার্জন কার্যালয়ে আয়োজিত পৃথক সংবাদ সম্মেলনে সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, এবার ১৩ লাখ ৮৫ হাজার ৭১৬ জনকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। শনিবার সকালে এই ক্যাম্পেইনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে প্রধান উপদেষ্টার বাড়ির কাছে বাথুয়া কমিউনিটি ক্লিনিক কেন্দ্রে।
এর মধ্যে জেলায় ৮ লাখ ২৫ হাজার ৭১৬ জন এবং সিটি করপোরেশন এলাকায় ৫ লাখ ৬০ হাজার জনকে টিকা খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে সিভিল সার্জন বলেন, “কোন বাচ্চার বমি থাকলে, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট থাকলে পরে টিকা নিতে পারবে। পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া খুব বেশি নেই। যদি কেউ বেশি পরিমাণে খেয়ে ফেলে বমি হতে পারে। এর বেশি কিছু নয়।”
ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. তৌহিদুল আনোয়ার জানান, ১৯৭৩ সাল থেকে দেশে এই ক্যাম্পেইন চালু আছে। গত বছরের ডিসেম্বরে এই ক্যাম্পেইন হওয়ার কথা ছিল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বাজেট স্বল্পতায় তখন হয়নি।
এবার চট্টগ্রাম জেলার ১৫টি উপজেলায় ২০০টি ইউনিয়নের ৬০০ ওয়ার্ডে ১৭ স্থায়ী কেন্দ্র, ১৫ ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্র এবং ৪৮০০ অস্থায়ী কেন্দ্রে ৬-১১ মাস বয়সী ৯২ হাজার ৭২৭ জন এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ৭ লাখ ৩২ হাজার ৯৮৯ জন শিশুকে টিকা খাওয়ান হবে।