বাকি ৮ আসনের বাছাই হবে সোমবার।
Published : 03 Dec 2023, 08:08 PM
বাছাইয়ে চট্টগ্রামের ৮টি আসনের জমা পড়া ৭৪টি মনোনয়নপত্রের মধ্যে ১৮ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে, তাদের মধ্যে চট্টগ্রাম-৪ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য দিদারুল আলম, চট্টগ্রাম-১ আসনের প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন এবং চট্টগ্রাম-৮ আসনে আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামও আছেন।
চট্টগ্রামের মোট ১৬টি আসনের মধ্যে রোববার ৮টির মনোনয়নপত্র বাছাই করা হয়।
এদিন চট্টগ্রামের রিটার্নিং কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বাছাই হয় চট্টগ্রাম-১ (মীরসরাই), চট্টগ্রাম-২(ফটিকছড়ি), চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ), চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) ও চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা) আসন।
আর বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড), চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) ও চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই করা হয়।
বাকি আসনগুলোর মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে সোমবার।
রোববার সকালে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই কার্যক্রমে মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয় চট্টগ্রাম-১ (মীরসরাই) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া ভোটারদের স্বাক্ষরে গরমিল থাকায় মনোনয়নপত্রটি বাতিল করা হয়।
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন বলেন, তিনি এ বিষয়ে আপিল করতে ঢাকায় যাবেন।
এ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহবুব রহমান রুহেলসহ মোট ৭ প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে গ্রহণ করা হয়।
চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনের ৮ জন প্রার্থীদের মধ্যে ৩ জনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।
গোলাম নওশের আলী নামে এক স্বতন্ত্র প্রার্থী তার মনোনয়নপত্রের সঙ্গে যে এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর জমা দিয়েছিলেন, সেখানে এক ভোটার ৮ মাস আগে মারা যায়- যা নির্বাচন কমিশনের তদন্ত কর্মকর্তাদের যাচাইয়ে ধরা পড়ে। এজন্য তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়।
তালিকায় মৃত ভোটারের নাম দেয়ায় আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ শাহজাহানের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
অন্যজন মো. রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী ১ শতাংশ ভোটারের তথ্য পুরোপুরি জমা দিতে পারেননি। আবার যাদের নাম দেওয়া হয়েছে তাদের কয়েকজন প্রবাসে থাকেন।
চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনের ১৩ জন প্রার্থীর মধ্যে দুইজন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিতে পারেননি। সে কারণে জাকের পার্টির মো. নিজাম উদ্দিন এবং বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক জোটের আমিন রসুলের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়।
চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনের ৯ প্রার্থীর মধ্যে ৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। তাদের মধ্যে বর্তমান সংসদ সদস্য দিদারুল আলম আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেলেও দলটির হয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। একই আসনে আরও দুই স্বতন্ত্র এবং একদলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।
চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনের ১০ জনের মধ্যে ২ জনের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। তারা হলেন দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মুহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী এবং মোহাম্মদ নাছির হায়দার করিম। তাদের তালিকায় দেওয়া ভোটারদের কেউ কেউ স্বাক্ষর করার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে পাঁচজন প্রার্থীর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিউল আজমের মনোনয়নপত্র বাতিল হয় এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরে গরমিল হওয়ায়।
চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনে ১৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ৫ জনের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।
এ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও সাবেক সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে ভোটারদের তালিকা ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায়।
একই কারণে সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিজয় কুমার চৌধুরী ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আরশেদুল আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
এছাড়া প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে না পারায় বাংলাদেশ কংগ্রেসের দুই প্রার্থী মনজুর হোসেন ও মোহাম্মদ মহিবুর রহমানের মনোনয়নও বাতিল ঘোষণা করা হয়।
আর চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা) আসনে সাত প্রার্থীর মধ্যে একজন প্রার্থীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টের নথি দাখিল না করায় তাকে সোমবার পর্যন্ত তা দাখিলের সময় দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে এবার মোট ১৪৮ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। রোববার বাছাই শেষে ৮টি আসনের মোট ৫৫টি মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।