যারা পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়ি যাবেন তাদের সংশ্লিষ্ট বিট অফিসার ও থানাকে অবহিত করতে বলা হয়েছে।
Published : 28 Mar 2025, 12:15 PM
রোজার ঈদকে কেন্দ্র করে নয় দিনের অবকাশ শুরু হয়েছে। প্রিয়জনের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে বন্দরনগরী ছাড়ছে মানুষ।
ঈদের এ টানা ছুটিতে চুরি, ছিনতাইসহ নানা ধরনের অপরাধ ঠেকাতে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের পক্ষ থেকে একগুচ্ছ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে নগরবাসী ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে।
রোববার চাঁদ দেখা গেলে সোমবার মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঈদুল ফিতর। এবার ঈদ ঘিরে লম্বা ছুটি পেয়েছেন চাকরিজীবীরা।
গেল বুধবার স্বাধীনতা দিবসের সরকারি ছুটির পর বৃহস্পতিবার অফিস থাকলেও অনেকেই আধাবেলা করে অফিস ছেড়েছেন। শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি, আর আগামী বৃহস্পতিবার সরকারের নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা এবং পরের দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটিসহ সব মিলিয়ে নয় দিনের ছুটিতে দেশ।
ঈদের ছুটিতে মঙ্গলবার বিকাল থেকেই অনেকেই শহর ছাড়তে শুরু করেছেন। তবে শুক্রবার সকাল থেকে অনেককেই শহর ছেড়ে যেতে দেখা গেছে।
চট্টগ্রাম পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, নিরাপদ ঈদ উদযাপনে তাদের পক্ষ থেকে নানা ধরনের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশের নিয়মিত দায়িত্বের পাশাপাশি অতিরিক্ত টহল ও সাদা পোশাকের টহল জোরদার করা হয়েছে ছুটিতে।
ঈদের ছুটিতে অনেকে শহর ছেড়ে গ্রামে চলে যাওয়ায় বাসাবাড়িগুলো ফাঁকা হয়ে যায়। সেগুলোর নিরাপত্তায় সিএমপির পক্ষ থেকে বিভিন্ন নির্দেশনা ও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সিএমপির নির্দেশনায় বিজ্ঞপ্তিতে বাসা বাড়ির দরজায় ‘অধিক নিরাপত্তা সম্পন্ন’ অতিরিক্ত তালার ব্যবহার, ফাঁকা বাসায় নগদ টাকা ও স্বর্নালঙ্কার রেখে না যাওয়া ও ডিজিটাল নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা, যেমন- সিসি টিভি ক্যামেরা ও এলার্ম সিস্টেম স্থাপন করার কথা বলা হয়েছে।
এছাড়া আবাসিক এলাকাগুলোতে রাতে অতিরিক্ত নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ করা ও নতুন নিয়োগ করা নিরাপত্তাকর্মীদের জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ছবি সংরক্ষণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আবাসিক এলাকাগুলোতে সন্দেহভাজন কোনো ব্যক্তির ঘোরাফেরা দেখলে কাছের থানায় অবহিত করতে এবং আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটলে জাতীয় জরুরি সেবার নম্বর ৯৯৯ নম্বরে এবং নগর পুলিশের কন্ট্রোল হটলাইন নম্বর ০১৩২০০৫৭৯৯৮ ও ০১৩২০০৫৪৩৮৪ নম্বরে ফোন করতে বলা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম নগরীতে ১৬৮টি আবাসিক এলাকা রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবাসিক এলাকা পাঁচলাইশ থানার অধীনে। এছাড়া, কোতোয়ালি থানায় ১৩টি, বাকলিয়ায় পাঁচটি, চকবাজারে আটটি ও সদরঘাট থানার অধীনে আছে চারটি আবাসিক এলাকা।
চান্দগাঁও থানা এলাকায় আটটি, খুলশীতে ২০টি, বায়েজিদে ১২, ডবলমুরিংয়ে ১০, হালিশহরে ১৭, পাহাড়তলীতে সাত, আকবর শাহ এলাকায় ১৬, বন্দর থানা এলাকায় তিনটি, ইপিজেড থানায় দুইটি এবং পতেঙ্গা সাতটি ও কর্ণফুলী থানায় তিনটি করে আবাসিক এলাকা রয়েছে।
আবাসিক এলাকার পাশাপাশি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠাগুলোতেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এ বিজ্ঞপ্তিতে।
সেখানে বলা হয়েছে- ব্যাংকের নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মীরা যাতে সতকর্তার সাথে দায়িত্ব পালন করে, সেটির তদারকি করা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকির জন্য একজন কর্মকর্তাকে পালাক্রমে নিযুক্ত করার কথা বলা হয়েছে।
এছাড়াও ব্যাংকের নিজস্ব সিসি ক্যামেরাগুলো কাজ করছে কিনা সেগুলোর নিশ্চিত করার পাশাপাশি ভল্টের চারদিকে সিসি ক্যামেরার কভারেজ নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে পুলিশের পরামর্শে।
যারা পরিবার নিয়ে শহর ছাড়বেন তাদের সংশ্লিষ্ট বিট অফিসার ও থানাকে অবহিত করতেও বলা হয়েছে এ নির্দেশনায়।