বৃহস্পতিবার সকালে ওই নারীকে অটো রিকশায় করে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন তার বাবা ও স্বামী। পাঁচলাইশ এলাকায় তিনি চিৎকার করে বলতে থাকেন, তাকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
Published : 08 Aug 2024, 11:09 PM
চট্টগ্রামে অটো রিকশা থেকে ‘সাহায্য’ চাওয়া এক নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে।
বৃহস্পতিবার নগরীর পাঁচলাইশ এলাকা থেকে অটো রিকশায় করে এক নারীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে।
জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের পরে খোঁজ নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মনোরোগ বিভাগে ওই নারীর সন্ধান পান।
জেলা প্রশাসনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওই নারী ‘মানসিক সমস্যায়’ ভুগছেন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি সাহায্য চেয়ে চিৎকার করেন।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে জেলা প্রশাসকের সভায় সমন্বয়করা বলেন পাঁচলাইশ এলাকায় এক নারীকে অটোরিকশায় করে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ওই নারীর চিৎকারে শিক্ষার্থীরা অটোরিকশাটি ধাওয়া করলেও সেটা ধরা সম্ভব হয়নি।
বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে জেলা প্রশাসক ওই নারীকে উদ্ধার করার নির্দেশনা দেন। একজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটকে সেখানে পাঠান তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থী ও সেনাবাহিনীর সহায়তায় আশেপাশের সিসিটিভি ভিডিও দেখে ওই অটোরিকশা চালককে আটক করার পরে জানা যায়, ওই নারী ও তার স্বজনদের তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেলে নামিয়ে দিয়ে আসেন।
পরে চট্টগ্রাম মেডিকেলের সিসিটিভি ভিডিও পর্যালোচনা করে ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ওই হাসপাতালের মনোরোগ বিভাগে ওই নারীর সন্ধান পাওয়া যায়।
ওই নারীর স্বামী ও স্বজনদের বরাত দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওই নারীর নাম ফাতিমা জিন্নাত। তার একটি শিশুসন্তান গত চার দিন যাবত শ্বাসকষ্টসহ অন্যান্য সমস্যায় পাঁচলাইশে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বুধবার রাত থেকে ওই নারী অসংলগ্ন আচরণ শুরু করেন, উপস্থিত আত্মীয় স্বজনকে তিনি আঘাত করা শুরু করেন। চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে চাইলে তিনি যেতে অস্বীকার করেন।
বৃহস্পতিবার সকালে ওই নারীকে অটোরিকশায় করে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন তার বাবা ও স্বামী। পথে পাঁচলাইশ এলাকায় তিনি চিৎকার করতে থাকেন এবং আশেপাশের লোকজনের কাছে সাহায্য চেয়ে বলেন, তাকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তাতেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।