২৬ নভেম্বর আদালতে সহিংসতার ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা হয় তিনটি।
Published : 19 Dec 2024, 09:31 PM
চট্টগ্রাম আদালতে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে করা মামলায় এক আসামিকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের মহানগর হাকিম নুসরাত জাহান জিনিয়া এ রিমান্ডের মঞ্জুর করেন।
চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের সহকারী কৌঁসুলি মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামি সাজু বৈদ্যের সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।”
২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় জামিন নাকচ করে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন চট্টগ্রামের ষষ্ঠ মহানগর হাকিম কাজী শরীফুল ইসলাম।
ওই আদেশের পর আদালত প্রাঙ্গণে প্রিজন ভ্যান ঘিরে বিক্ষোভ করে সনাতনী সম্প্রদায়ের লোকজন। আড়াই ঘণ্টা পর পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে চিন্ময় দাশকে কারাগারে নিয়ে যায়।
বিক্ষোভকারীরা আদালত সড়কে রাখা বেশ কিছু মোটরসাইকেল ও যানবাহন ভাঙচুর করে। এরপর আদালতের সাধারণ আইনজীবী ও কর্মচারীরা মিলে তাদের ধাওয়া করে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে রঙ্গম কনভেনশন হল সড়কে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় সেদিন চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানায় আলিফের বাবা জামাল উদ্দিন হত্যা মামলা করেন। মামলায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫-১৬ জনকে আসামি করা হয়।
আইনজীবীদের ওপর হামলা, বিস্ফোরণ ও ভাঙচুরের অভিযোগে আরেকটি মামলা করেন আলিফের ভাই খানে আলম, তাতে ১১৬ জনকে আসামি করা হয়।
এর বাইরে আদালত এলাকায় সংঘর্ষ, ভাংচুর ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে। এসব মামলায় নাম উল্লেখ করা ৭৬ জন ও অজ্ঞাতনামা মিলিয়ে ১ হাজার ৪০০ জনকে আসামি করা হয়।
আদালত এলাকায় সহিংসতার ঘটনায় সবশেষ ৩ ডিসেম্বর মোহাম্মদ উল্লাহ নামের এক ব্যক্তি ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ ২৯ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা করেন।