গ্যাস না থাকায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন আবাসিক গ্রাহকরা। রাস্তায় গ্যাসচালিত যান চলাচলও কমে গেছে।
Published : 19 Jan 2024, 01:49 PM
এলএনজি টার্মিনালে সমস্যার কারণে হঠাৎ করেই চট্টগ্রামে বাসাবাড়ি ও শিল্প কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।
গ্যাস না থাকায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন আবাসিক গ্রাহকরা।
সকালে চুলায় গ্যাস জ্বলতে না দেখে অনেকে খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ ছুটে যান। কিন্তু চাহিদার তুলনায় খাবার কম থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হয়। অনেককেই ফিরতে হয়েছে খালি হাতে।
শুক্রবার সকাল থেকে সরবরাহ লাইন থেকে গ্রাহকরা গ্যাস পাননি বলে জানা গেছে। কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল) কর্তৃপক্ষও বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
নগরীর বিভিন্ন সিএনজি স্টেশনগুলোতেও গ্যাস মিলছে না। গ্যাস না পাওয়ায় নগরীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চলাচলও কমে গেছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন। হাতেগোনা কিছু অটোরিকশা মিললেও সেগুলেতে বেশি ভাড়া হাঁকা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।
এমনিতেই গত কয়েকমাস ধরে চট্টগ্রামে গ্যাস সংকট চলছে। তার মধ্যে কোনো ঘোষণা ছাড়াই গ্যাস সরবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ।
বাদুরতলা এলাকার বাসিন্দা সাইফুল সরকার বলেন, কয়েকমাস ধরে লাইনে গ্যাস মিলছে না সকাল থেকে দুপুর বা বিকেল পর্যন্ত। শুক্রবার ভোর থেকেই কোন ঘোষণা ছাড়াই গ্যাস বন্ধ।
বন্ধের দিনে এই যন্ত্রণা পেতে হচ্ছে। কবে এ যন্ত্রণা থেকে মুক্তি মিলবে জানি না।
কেজিডিসিএলের মহাব্যবস্থাপক মো. আমিনুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এলএনজি টার্মিনালের সমস্যার কারণে ভোর থেকেই চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ আছে।
“মহেশখালীর দুটি এলএনজি টার্মিনাল থেকে সরবরাহ হচ্ছে না। সেকারণে এই সংকট। সংস্কার হয়ে আসা একটি টার্মিনাল কমিশনিং করতে গিয়ে সমস্যা হওয়ায় গ্যাস সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।”
সেটি থেকে সরবরাহ হলে চট্টগ্রামে গ্যাস মিলবে বলে জানান তিনি।
তবে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হতে কত সময় লাগবে, তা জানাতে পারেননি কেজিডিসিএলের মহাব্যবস্থাপক।
চট্টগ্রামে আবাসিক ও শিল্প কারখানা মিলিয়ে গ্যাসের প্রয়োজন হয় ৩২৫ মিলিয়ন ঘনফুটের মতো। ২৯০ মিলিয়নের মতো মিললে আবাসিকসহ শিল্প কারখানায় সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা যায়।