চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের কমিটিতে বিবাহিতদের রাখার দাবিতে বন্দর নগরীতে বিএনপি নেতাদের ‘অবরুদ্ধ’ করলেন সংগঠনটির একদল নেতাকর্মী, যাদের অধিকাংশই বিবাহিত।
Published : 15 Jul 2020, 10:43 PM
বুধবার বেলা ১২টার দিকে চট্টগ্রামের নাসিমন ভবনে বিএনপি কার্যালয়ের বাইরে মহানগর ছাত্রদলের ১৫ জনের মতো নেতাকর্মী অবস্থান নেন।
এ সময় দলীয় কার্যালয়ের ভেতরে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি গাজী সিরাজ উল্লাহসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে করোনাভাইরাস মহামারীর সময়ে নগরবাসীর সহায়তায় ওষুধ ও অক্সিজেন সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধনের জন্য তারা সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন।
পরে ছাত্রদলকর্মীদের আশ্বস্ত করে প্রায় এক ঘণ্টা পর বিএনপি নেতারা কার্যালয় থেকে বের হয়ে আসেন।
ছাত্রদল মহানগরের সভাপতি গাজী সিরাজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের মহানগর কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। কেন্দ্র থেকে বলেছে, বিবাহিতদের কমিটিতে রাখবে না। সে কারণে বেশ কয়েক দিন ধরে বিক্ষোভ হচ্ছে।”
চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের কমিটিতে বিবাহিতদের রাখা হলে চট্টগ্রাম মহানগরে কেন রাখা যাবে না প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, মহানগরে দীর্ঘদিন ধরে কমিটি নেই। ছাত্রদলের অনেকেই এ সময়ে বঞ্চিত হয়েছেন। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম গেছে। ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন দরকার।
বিএনপি নেতাদের অবরুদ্ধ করে রাখার বিষয়টি স্বীকার করেন ছাত্রদল নেতা গাজী সিরাজ।
আন্দোলনকারী ছাত্রদল নেতাদের অন্যতম এন মোহাম্মদ রিমন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দীর্ঘ সময় ধরে ছাত্রদলের মহানগর কমিটি না করায় অনেক ত্যাগী নেতা পদ পান নাই। গ্যাপের কারণে ত্যাগী অনেকেই বিবাহিত হওয়ায় সামনে কমিটি হলে বাদ পড়বে।
“কেন্দ্রের এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য আমরা বিএনপি চট্টগ্রাম মহানগরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানসহ শীর্ষ নেতাদের বিভিন্ন সময়ে বলেছি এবং স্মারকলিপি দিয়েছি। কিন্তু এতে কোনো কাজ হয়নি।
“সে কারণে বিবাহিত ত্যাগী ছাত্রনেতা ও কর্মী যারা দীর্ঘদিন আন্দোলন সংগ্রামে ছিল এবং জেল-জুলুম খেটেছে তাদের ছাত্রদলের কমিটিতে রাখার দাবি জানিয়ে এই কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।”
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির নেতারা তাদের কথা শুনেছেন দাবি করে রিমন বলেন, “নেতৃবৃন্দ আমাদের দাবি কেন্দ্রকে বলবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।”
আন্দোলনকারী ছাত্রদল নেতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন- নাজমুল হায়দার, মোহাম্মদ হিমেল, আবদুল্লাহ আল হাসান, এস এম রুম্মান আফসার, শফিউল আলম।