চট্টগ্রামের চন্দনাইশে শঙ্খ নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে এক মাস ধরে নিখোঁজ রয়েছেন আমজু মিয়া নামে এক ব্যক্তি।
Published : 22 Oct 2019, 11:30 PM
উপজেলার ধোপাছড়ি ইউনিয়নের বাসিন্দা আমজু মিয়া কৃষিকাজ করে জীবিকা চালাতেন।
এই ঘটনায় চন্দনাইশ থানায় সাধারণ ডায়েরি করার পরও খোঁজ না পেয়ে আদালতে মামলা করেছেন তার ছেলে আলমগীর হোসেন।
আমজু মিয়াকে অপহরণ করা হয়েছে সন্দেহে ছয়জনকে সন্দেহের কথা জানিয়েছেন তিনি। তারা হলেন নুরুল আমিন (৫৬), আবুল কালাম (৪৮), আবু ইউসুফ (৪২), মোস্তাক আহাম্মদ (৪০), আরিফুল ইসলাম (৩৩) ও মুজিবুল হক ওরফে খোকা (৪৭)।
আসামি এবং নিখোঁজ আমজু মিয়া সবাই একই এলাকার বাসিন্দা।
মামলার আইনজীবী জহির উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, এক মাস ধরে আমজু মিয়ার খোঁজ পাওয়া যায়নি। আমজু মিয়া কয়েকজনের সাথে মাছ ধরতে গিয়েছে সেটা অনেকেই দেখেছেন।
“প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে যাদের নাম পাওয়া গেছে, তাদের আসামি করে আদালতে আমরা অপহরণ মামলা করেছি।”
আমজু মিয়ার ছেলে আলমগীর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মামলায় যে ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে তাদের মধ্যে নুরুল আমিন ছাড়া অন্যদের সঙ্গে তার বাবার বিরোধ ছিল। নুরুল আমিনের মাধ্যমে তার বাবাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল অন্যরা।
তিনি বলেন, “২৩ সেপ্টেম্বর আমার বাবা নিখোঁজের পর কোনো খবর না পেয়ে ২৫ সেপ্টেম্বর চন্দনাইশ থানায় জিডি করেন আমার চাচা আবুল হোসেন। আমরা কয়েকজনকে সন্দেহ করার কথা পুলিশকে জানালেও তারা মামলা নিতে রাজি না হওয়ায় গত ১৪ অক্টোবর আদালতে মামলা করি।”
মামলায় আলমগীর অভিযোগ করেন, গত ২৩ সেপ্টেম্বর বিকাল পর্যন্ত স্থানীয় লোকজন নদীতে কালামসহ আসামিদের সঙ্গে তার বাবাকে মাছ ধরতে দেখেছিল। পরে খোঁজ না পেয়ে কালামের বাড়িতে গেলে তিনি তাদের দেখে পালিয়ে যান। পরে নুরুল আমিনের বাড়িতে গেলে তিনিও বিভ্রান্তিকর কথা বলেন।
চন্দনাইশ থানার ওসি কেশব চক্রবর্ত্তী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমজু মিয়া নিখোঁজের পর পরিবারের পক্ষ থেকে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছিল। এরপর পর নুরুল আমিনকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে এনেছিলাম। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে আদালতে মামলা করা হয়।”
নুরুল আমিন পুলিশকে বলেছেন, মাছ ধরতে গিয়ে তারা মদ পান করেছিলেন। ওই সময় আমজু নদীতে পড়ে যুবে যান।
ওসি বলেন, “কালামকে আমরা খুঁজছি। তাকে পাওয়া গেলে কিছু জানা যাবে। আর অন্য আসামিদের বিষয়টিও খতিয়ে দেখছি।”