মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রামের বিদায়ী জেলা প্রশাসক জিল্লুর রহমান চৌধুলী ও নতুন দায়িত্ব নেওয়া মোহাম্মদ ইলিয়াছ আনুষ্ঠানিকভাবে সেগুলো অবমুক্ত করেন।
প্রায় ৪৮ লাখ টাকা ব্যয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে কেনা হয়েছে এসব জেব্রা।
টিকিট বিক্রির টাকায় জেব্রাগুলো কেনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিড়িয়াখানা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার রুহুল আমিন।
দীর্ঘদিন ধরে বাঘ ও সিংহ ছাড়া ‘শ্রীহীন’ চিড়িয়াখানায় এবার যুক্ত হলো জেব্রা।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ২০১৬ সালের ৯ ডিসেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ৩৩ লাখ টাকা খরচ করে আনা হয় এক জোড়া বাঘ। এর আগে একই বছরের ৫ সেপ্টেম্বর ‘অদল-বদল’ প্রক্রিয়ায় রংপুর চিড়িয়াখানায় একটি সিংহী দিয়ে একটি সিংহ আনা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিদায়ী জেলা প্রশাসক জিল্লুর রহমান চৌধুরী বলেন, জেলা প্রশাসনের অধীনে পরিচালিত এ চিড়িয়াখানটি নিজস্ব আয়ে নির্ভরশীল।
চিড়িয়াখানার সৌন্দর্য বাড়াতে জেলা প্রশাসনের নেয়া উদ্যোগের মধ্যে জেব্রা আনার কাজটিও একটি। পাশাপাশি চিড়িয়াখানার অভ্যন্তরীন সৌন্দর্য বাড়াতে জেলা প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
এদিকে জেলা প্রশাসনের এ কাজ অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছেন নতুন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াছ।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বাঘের মতো জেব্রা আনার দায়িত্বেও ছিল বন্য প্রাণী আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ‘ফেলকন ট্রেডার্স’।
প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার সোহেল আহামেদ জানান, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রোটিয়া রাজ্যের ‘ম্যাফুনিয়ান গেইম রিজার্ভ’ থেকে জেব্রাগুলো সংগ্রহ করা হয়। জেব্রাগুলোর মধ্যে চারটি মাদী।
সোহেল জানান, দক্ষিণ আফ্রিকার জোহান্সবার্গ বিমান বন্দর থেকে গত ৩ মার্চ বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে জেব্রাগুলো পাঠানো হয়। ইস্তাম্বুলে যাত্রা বিরতির পর সোমবার সকালে ঢাকায় পৌঁছায় এবং সড়ক পথে রাতে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আনা হয়।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ভারপ্রাপ্ত কিউরেটর শাহাদাৎ হোসেন শুভ জানান, আমদানি করা জেব্রাগুলো ‘প্লেইন জেব্রা’। এগুলোর গড় আয়ু ১৫ থেকে ২০ বছর।
বর্তমানে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় মোট ৫১ প্রজাতির পাশু-পাখি রয়েছে বলে জানান তিনি।