জেব্রা আসছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায়

বাঘ, সিংহের পর এবার চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার প্রাণী পরিবারে যুক্ত হচ্ছে তিন জোড়া জেব্রা। এ বছরের শেষের দিকেই আনা হবে জেব্রাগুলো।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 July 2017, 01:02 PM
Updated : 10 July 2017, 01:02 PM

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের সদস্য সচিব ও জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুহুল আমিন বলেন, “প্রায় ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে তিন জোড়া জেব্রা আনা হবে।

“রোববার জেলা প্রশাসক জিল্লুর রহমান জেব্রা কিনতে সম্মতি দিয়েছেন। এজন্য কোরবানি ঈদের পর আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হবে।”

এসব জেব্রা দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা হতে পারে।

১৯৮৯ সালে চট্টগ্রাম নগরীর ফয়’স লেক এলাকায় ছয় একর জায়গা নিয়ে নির্মিত হয় চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এ চিড়িয়াখানায় বর্তমানে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, বাঘ, সিংহ, হরিণ, কুমির, অজগর, ভাল্লুকসহ প্রায় ৪৭ প্রজাতির প্রাণী।

দীর্ঘদিন বাঘ ও সিংহ ছাড়া থাকা চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় গত বছরের ৯ ডিসেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ৩৩ লাখ টাকা খরচ করে আনা হয় এক জোড়া বাঘ। এর তার আগে ৫ সেপ্টেম্বর ‘অদল-বদল’ প্রক্রিয়ায় রংপুর চিড়িয়াখানায় একটি সিংহী দিয়ে একটি সিংহ আনা হয়।

এছাড়াও গত বুধবার ঢাকা চিড়িয়াখানা থেকে আনা হয় চারটি ময়ূরী।

চিড়িয়াখানার চিকিৎসক ও ডেপুটি কিউরেটরের দায়িত্বে থাকা শাহাদাৎ হোসেন শুভ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “চিড়িয়াখানার পশ্চিম পাশে পাহাড়ের নিচে প্রায় ৪৮ হাজার বর্গফুট জায়গা আছে।

“বর্ষা শেষে সেখানে মাটি ভরাট করে খাঁচা নির্মাণের কাজ শুরু হবে এবং নির্মাণ শেষে সেখানেই রাখা হবে জেব্রাগুলো।”

সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুহুল আমিন জানান, চিড়িয়াখানায় টিকিট বিক্রির অর্থ দিয়েই জেব্রাগুলো আনা হবে।

চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ থেকে জানা গেছে, ২০১৫ সালে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় টিকিট বিক্রি থেকে আয় হয়েছে প্রায় এক কোটি ৩০ লাখ টাকা।

আর ২০১৬ সালে চিড়িয়াখানায় কর্মচারী, কর্মকর্তাদের বেতন পরিশোধ ও বিভিন্ন খাতে মোট ৫৮ লাখ টাকা উন্নয়ন খরচ বাদ দিয়ে মোট ৫৮ লাখ টাকা এবং চলতি বছরের প্রথম ছয়মাসে টিকিট বিক্রির টাকা থেকে আয় হয়েছে ৬৫ লাখ টাকা।

রোববারের বৈঠকে চিড়িয়াখানায় বানরের খাঁচা সংস্কার, শিশু করনার নির্মাণ, পাবলিক টয়লেট সংস্কারসহ মোট ১২ লাখ ৬৮ হাজার ৪৯২ টাকার উন্নয়ন কাজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।