চট্টগ্রাম বন্দরকে ‘লুটেরা সিন্ডিকেটের’ হাত থেকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন নগর আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।
Published : 09 Dec 2017, 09:20 PM
শনিবার বিকালে বন্দরনগরীর গোসাইলডাঙ্গা এলাকায় এমকি প্লাজার সামনে ‘নাগরিক উদ্যোগ’ আয়োজিত ‘জনদুর্ভোগ লাঘবে জনতার ঐক্য চাই শীর্ষক’ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।
সমাবেশে সুজন বলেন, “মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রীর অযাচিত এবং বিধিবহির্ভূত হস্তক্ষেপ, খবরদারি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে হুকুমের গোলামে পরিণত করেছে।
“বন্দর কয়েকদিন পর পর পত্র পত্রিকায় তাদের কৃতিত্বের খবর পাঠায়। কিন্তু কি অবর্ণনীয় হয়রানির মধ্য দিয়ে দেশের আমদানি রপ্তানিকারকরা বন্দর ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছে সে খবর কে রাখে।”
সুজন বলেন, আমদানি পণ্য নিয়ে আসা জাহাজ মাল খালাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকে সপ্তাহের পর সপ্তাহ। পৃথিবীর কোনো বন্দরে এত দীর্ঘ সময় কোনো জাহাজকে অপেক্ষমান থাকতে হয়না।
“অতিরিক্ত জাহাজ ভাড়া যুক্ত হয় আমদানি পণ্যে, দেশে বাড়ে ভোগ্যপণ্যের দাম। পলি জমার কারণে বন্দরের ১ থেকে ৫ নং জেটি আজ প্রায় পরিত্যক্ত। ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের নামে দুর্নীতিবাজদের পকেটে ঢুকেছে কোটি কোটি টাকা, দূর হয়নি জমে থাকা পলি।”
খোরশেদ আলম সুজন বলেন, বন্দরের যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ডিপিএম পদ্ধতির নামে সাতভূতের সিন্ডিকেটের পকেট ভারী হচ্ছে, বন্দরের অর্থ হচ্ছে লোপাট।
“চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র ও হৃদপিন্ড। অনিয়ম-বিশৃঙ্খলা এবং বন্দরের অর্থের অবাধ লুটপাট বন্ধ করে চট্টগ্রাম বন্দরকে ব্যবহারকারী ব্যবসায়ী সাধারণের স্বার্থের অনুকূলে আনতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।”
বন্দর থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. ইলিয়াছের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নগর আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাজী জহুর আহমদ, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আহাদ, ৩৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইসকান্দর, ৩৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এম. হাসান মুরাদ, প্রমুখ।