বন্দরনগরীর এমএ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন অফিসার্স ক্লাবে শনিবার রাতে ওই গুলির ঘটনা ঘটে বলে কোতোয়ালি থানার ওসি জসীম উদ্দিন জানান।
চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি মঞ্জু ঠিকাদারি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এক সময় তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। যুবলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
আর যাকে তিনি গুলি করেছেন, সেই মো. জয়নাল আনোয়ারা উপজেলা যুবলীগের সদস্য এবং আনোয়ারা উপজেলা থেকে নির্বাচিত চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য এস এম আলমগীরের ছোট ভাই।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “রাতে অফিসার্স ক্লাবে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। পরে মঞ্জু পিস্তল বের করে জয়নালের পায়ে গুলি করেন।”
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে আহত জয়নালকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। আর মঞ্জুকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
ওসি বলেন, ওই পিস্তলের লাইসেন্স রয়েছে বলে মঞ্জু তাদের জানিয়েছেন। তবে কী নিয়ে জয়নালের সঙ্গে মঞ্জুর বিরোধ তৈরি হয়েছিল, সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি এই পুলিশ কর্মকর্তা।
আর আহত জয়নালের বড় ভাই চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য এস এম আলমগীর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ক্লাবে ‘ঝামেলার’ বিষয়টি তিনি টেলিফোনে জয়নালের কাছ থেকেই জানতে পেরেছেন।
“রাতে আমার ভাই ফোন করে ঘটনা জাসায়। আরও কয়েকজনের কল পাই। পরে কোতোয়ালি থানায় গিয়ে দেখি জয়নালের রক্তাক্ত অবস্থা। পুলিশের গাড়িতে করে ওকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।”
আনোয়ারার আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীর বলেন, ক্লাবের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জয়নালের সঙ্গে মঞ্জুর বিরোধ ছিল বলে তিনি শুনেছেন।
“আগেও কয়েকবার এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। তখন মীমাংসা করা হয়েছিল। শনিবার রাতে গুলির ঘটনায় জয়নাল বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে।”