চট্টগ্রামে সাংবাদিককে হুমকির দেওয়ায় সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমানকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন। অন্যথায় তার কার্যালয় ঘেরাওয়ের ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।
Published : 23 Oct 2016, 06:03 PM
রোববার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে মানববন্ধন ও সমাবেশ থেকে এ ঘোষণার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেয়ারও কথা জানানো হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যখন দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, তখন তার দলীয় সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমানের কাছ থেকে সাংবাদিকদের হুমকি পাওয়া দুঃখজনক।
আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সাংবাদিক রাহুল দাশ নয়নের কাছে সাংসদ মোস্তাফিজ নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে তার কার্যালয় ঘেরাও এবং কুশপুতুল পোড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয় সমাবেশ থেকে।
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন (পিআইও) কর্মকর্তার কার্যালয়ে তথ্য চেয়ে স্থানীয় সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমানের রোষানলে পড়েন চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত দৈনিক পূ্র্বদেশ পত্রিকার সাংবাদিক রাহুল দাশ নয়ন।
মঙ্গলবার সকালে টেলিফোনে সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমানের কাছে এ হুমকি পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা চেয়ে চট্টগ্রামের পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত আবেদন করেন রাহুল।
বাঁশখালীর গণ্ডামারায় কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের আন্দোলনে গুলিতে চারজন নিহত হওয়ার চারদিন পরও নিজ এলাকায় না গিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন সাংসদ মোস্তাফিজুর।
এরপর নিজের ‘ফর্দ অনুযায়ী’ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ‘নিয়োগ না দেওয়ায়’ ১ জুন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলামকে সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান ও আওয়ামী লীগের কয়েকজন মারধর করেন বলে অভিযোগ উঠে।
ওই ঘটনার পর বাঁশখালীর নির্বাচন স্থগিত করে সাংসদের বিরুদ্ধে মামলা করে নির্বাচন কমিশন। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে বাঁশখালীর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন মোস্তাফিজুর।
সভাপতি রিয়াজ হায়দারের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক স্বরূপ ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় সিইউজের সমাবেশে বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, সাবেক সভাপতি এম নাসিরুল হক, মোস্তাক আহমেদ, আবু তাহের মোহাম্মদ, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আলী আব্বাস, সিইউজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজিমুদ্দিন শ্যামল, যুগ্ম সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাংস্কৃতিক সম্পাদক শহিদুল্লাহ শাহরিয়ার, সিইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক সবুর শুভ, পূর্বদেশ পত্রিকার ইউনিট প্রধান বাবুল চৌধুরী, প্রিয় চট্টগ্রাম পত্রিকার ইউনিট প্রধান আব্দুর রউফ পাটোয়ারি, টেলিভিশন ইউনিটের উপ-প্রধান মাসুদুল হক, অনিন্দ্য টিটো, রাহুল দাশ ও প্রীতম দাশ।