চট্টগ্রামে কলেজপড়ুয়া এক তরুণের ধারালো অস্ত্রের কোপে খুন হয়েছেন তার বড়ভাই।
Published : 11 Oct 2015, 12:58 PM
নিহত সোহেল চৌধুরী (৩৫) পেশায় একজন স্থপতি ছিলেন। আর ছোটভাই রায়হান চৌধুরী কাজেম আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।
রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কোতোয়ালি থানা এলাকার রাবেয়া রহমান গলির একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে বলে ওসি জসিম উদ্দিন জানিয়েছেন।
বাসায় সেহেলের বাবা-মা, তার স্ত্রী, এক বছর বয়সী শিশু সন্তান ও ছোট ভাই রায়হান থাকতেন।
ওসি বলেন, ভাইকে খুনের ঘটনায় রায়হানকে খুঁজছে পুলিশ।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি জানান, সকালে কলেজে যাওয়ার জন্য ঘুম থেকে ডেকে তুলতে রায়হানের ঘরে গিয়েছিলেন সোহেল।
“এরই এক পর্যায়ে রায়হান ঘরে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে সোহেলকে কুপিয়ে পালিয়ে যান।ঘরের মধ্যেই সোহেলের মৃত্যু হয়েছে।”
পরিবারের বরাত দিয়ে ওসি জানান, রায়হান মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন।
“তিনি কয়েকদিন ধরে কলেজে যান না। এমনকি ঘর থেকে বের হতেন না, কারও সঙ্গে কথাও বলতেন না।”
কলেজে না যাওয়ায় সোহেল এর আগে ছোটভাইকে বকাঝকাও করেছিলেন বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, বলেন ওসি জসিম।
খালেসা বলেন, “সকালে অফিসে যাওয়ার পথে রায়হানকে কলেজে নামিয়ে দেওয়ার জন্য সোহেল তার কক্ষে ডাকতে যান। এসময় রায়হান দরজা বন্ধ করে সোহেলকে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
“রায়হানের কিছুটা মানসিক সমস্যা আছে। এজন্য তার চিকিৎসাও হয়েছে। সে নিজে একা থাকতে পছন্দ করত।”
পুলিশ বাসা থেকে একটি ছুরি, হাতুড়ি রায়হানের বিছানার নিচ থেকে একটি বড় দা উদ্ধার করেছে।
কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নূর আহম্মদ বলেন, “হত্যাকাণ্ডটি পরিকল্পিত বলে আমাদের ধারণা। কয়েকদিন ধরে এ ঘটনা ঘটানোর জন্য রায়হান প্রস্তুতি নিয়েছিল বলে মনে হচ্ছে এবং সেজন্য হাতুড়ি, ছুরি ও দা ঘরে এনে রেখেছিল।”
তবে হত্যায় ছুরি ও হাতুড়ি ব্যবহার করা হলেও দা ব্যবহার করা হয়নি বলে জানান তিনি।
সোহেলের লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।